ভোলার চরফ্যাসন পুলিশের গ্রেফতার আতংকে এলাকাবাসীর গ্রামছাড়া

বরিশাল প্রতিনিধি ॥ ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় শিশু জুয়েলের লাশ উত্তোলন নিয়ে মঙ্গলবার পুলিশ-গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় আবুবকরপুর ও আমিনাবাদ এলাকার প্রায় কয়েকশত নারী পুরুষ গ্রামছাড়া হয়ে পড়েছে। এদিকে পুলিশের ভয়ে নিহত শিশুর বাবা ছগির আহমেদসহ আহতারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে বলে স্বজনরা জানিয়েছে। তবে বুধবার বিকাল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানায়, সংর্ষের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ অজ্ঞাত ৩ শতাধিক  গ্রামবাসীকে আসামী করে মামলা দায়ে করে। ওই মামলায়  সুনির্দিষ্ট কাউকে আসামী করা হয়নি। পুলিশী হয়রানির ভয়ে ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন লোকজনও বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। অপর দিকে ঘটনার মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত আমিনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল ইসলাম মিঠু ও আবু বকরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজ জমাদারের লোকজন গিয়ে গ্রামবাসীকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে নিহত জুয়েলের বাবা ছগির পাটোয়রিকে চেয়ারম্যানরা যেভাবে চায় সেভাবে বক্তব্য দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এদের ভয়ে গুরুতর আহত ছগির পাটোয়ারি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

চরফ্যাসন থানার ওসি রিয়াজ হোসেন জানান, ঘটনার পর পুলিশ ওই এলাকায় অভিযানে যায়নি। কাউকে গ্রেফতার করাও হয়নি। তবে ভয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অনেকে পালিয়ে গেছে এবং ওই এলাকা এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে বলে তিনি শুনেছেন।