ইভটিজারদের বিরুদ্ধাচারন : শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাত আলীকে চুরিকাঘাত

শুভব্রত দত্ত, বরিশাল ॥ মেয়েকে ইভটিজিং করা ওই  ইভটিজারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দেয়ার অপরাধে বরিশালে আবারও এক শিক্ষক সন্ত্রামী হামলার শিকার হয়েছে। এবারে নগরীর রুপাতলী এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও এ ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক জিন্নাত আলীকে চুরিকাঘাত করেছে দুবৃত্তরা। তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রুপাতলীর চান্দুর মাকের্ট এলাকায় আজ রাত সারে ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, বেশ কিছু দিন ধরে ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও স্কুল শিক্ষক জিন্নাত আলীর ছোট মেয়েকে ইভটিজিং করে বেড়ায় নগরীর বাজার রোডস্থ সুলতানী বিড়ি ফেক্টরীর পিছন এলাকার সন্ত্রাসী মোঃ রুপম। এ বিষয়ে জিন্নাত আলী রুপমকে বেশ কয়েক বার নিষেধ করলে সে তাকে জীবন নাশের হুমকী দেয়। এক পর্যায় জিন্নাত আলী মাস্টার এ ঘটনায় প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দেয়। এতে ইভটিজার রুপম আরো বেপরোয়া হয়ে পরে। সে প্রতিনিয়তই তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকী দিতে থাকে।

এদিকে আজ শুক্রবার রাতে শিক্ষক মোঃ জিন্নাত আলী মাস্টার সাগরদী বাজার থেকে বাজার নিয়ে তার বাসা চান্দুর মাকেট’র দিকে রওনা দেয়। তিনি তার বাসার মাত্র ৫০ গজ দুরে উপকুল কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের সামনে আসলে পিছ থেকে একটি মোটরসাইকেল যোগে আসা দুই অজ্ঞাত নামা যুবক তাকে ঘিরে ধরে তার পেটের বাম পাশে ছুকিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় তিনি চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরেন। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অচেতন অবস্থায় অপারেশণ থিয়েটারে তার অস্ত্রপচার চলচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, রুপম ও তার সহযোগীরা সন্ধ্যার পর থেকেই মোটর সাইকেল নিয়ে উৎ পেতে বসে থাকতে দেখা গেছে। হামলার পর রুপম তার ব্যবহিত মোবাইল সেটের ০১৯১২২০৪৭৬৩ নম্বর দিয়ে জিন্নাত আলীর মেয়েকে ফোন করে বলে “তোর বাবা কি বেচে আছে নাকি মরে গেছে”। এতেই প্রমানিত হয় রুপম জিন্নাত আলীকে ছুরিকাঘাত করেছে।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাত আলীর উপর হামলার ঘটনা ছড়িয়ে পরলে তাকে হাসপতালে দেখতে ছুটে আসেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম মইনউদ্দিন  খান আইউব ও সুলতান আহম্মেদসহ বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান ও এ ওহেদ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির শওকত হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যরা। এ ঘটনায় রুপাতলী ও সাগরদী এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। সন্ত্রাসীদের আটকের দাবী জানিয়েছে। পাশাপাশি এ ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটি নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বিচারের দাবীতে আন্দোলনের ঘোসনা দিয়েছে।