গৌরনদীতে আগাম ইরি-বোরো চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকেরা

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কৃষি নির্ভর বরিশালের গৌরনদীতে আমন ধান কাটা শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে আগাম ইরি-বোরো চাষ। চলতি মৌসুমে আমন Dhan Khetধানের বাম্পার ফলনের পর আগাম ইরি-বোরো চাষে কৃষকেরা এখন কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। গত ৪/৫দিন ধরে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকায় বিভিন্ন এলাকায় আগাম ইরি-বোরো চারা রোপনের কাজ শুরু করেছেন কৃষকেরা। চাহিদা মোতাবেক সার পাওয়ায় এবছর ইরি-বোরো চাষে চাষীরা অধিকহারে ঝুঁকে পরেছেন। ইরি-বোরোর পুরো মৌসুমে সার ও সেচকাজের জন্য সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে আমনের ন্যায় ইরি-বোরোতেও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা।

গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার মন্ডল জানান, উপজেলায় মোট ৬ হাজার ৭’শ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এরমধ্যে আগাম ইরি-বোরো চাষের জন্য ৩ হাজার ২’শ হেক্টর জমি নির্ধারন করা হয়। এ লক্ষমাত্রা পূরন হলে ৩৭ হাজার ২’শ মেঃ টন ধান উৎপাদন হবে। ইতিমধ্যেই কৃষকরা আগাম ইরি-বোরো চাষ শুরু করেছেন। তবে এবছর ইরি-বোরো চাষের এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

উপজেলার গেরাকুল গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন ঘরামী, হেলাল মিয়া, সাহানুর বেপারী, আশোকাঠী গ্রামের হানিফ সরদার, মান্নান বেপারী, হরিসেনা গ্রামের আব্দুল লতিফ, হানিফ বেপারী, কাসেমাবাদ গ্রামের কাওসার হোসেন, রব সরদার, মাহিলাড়া গ্রামের হেলাল সরদার, কটকস্থল গ্রামের সালাউদ্দিন হাওলাদার, গোরক্ষডোবা গ্রামের কবির উদ্দিন মাঝিসহ একাধিক কৃষকেরা জানান, চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের পর পরই তারা তাদের অধিকাংশ জমিতে আগাম ইরি-বোরো চাষ শুরু করেছেন।

তারা আরো জানান, জমি প্রস্তুতের সময় যে পরিমান টিএসপি, ডিএপি, এমওপি ও ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয় তা চাহিদা মোতাবেক ডিলারদের কাছে পাওয়ায় এখনো তাদের কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। তাছাড়া গতবছরের ন্যায় চলতি মৌসুমেও এখানকার অধিকাংশ কৃষকেরা গুটি ইউরিয়ার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছে। কৃষকেরা ইরি-বোরো মৌসুমের মুখ্যম সময় সঠিক ভাবে সার, ঔষধ ও সেচকাজের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কাছে দাবি জানিয়েছেন।