লঞ্চ ও বাসে উপচে পরা ভিড়

শাহীন হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বর্ণাঢ্য আনন্দ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো মুসলিমদের দ্বিতীয় ঈদ। এই কোরবানির ঈদ আনন্দ পরিবারের সকল স্বজনদের নিয়ে উপভোগ করতে আসা মানুষের এখন নিজনিজ কর্মস্থলে ফেরার পালা। আর ফিরতে গিয়ে পোহাতে হচ্ছে যত দুর্ভোগ। গতকাল বিকাল ৫টায় বরিশাল আধুকি নৌবন্দরে গেলে দেখা যায় যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ঠিক বাসস্ট্যান্ডগুলোর চিত্র ছিলো একই রকমের দুপুর তিনটা থেকে বরিশালের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান বোঝাই করে লঞ্চঘাটে আসছেন যাত্রীরা। এরা সকলেই কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়েছে।

ঈদুল আযহা উপলক্ষে ৬ থেকে ৮তারিখ পর্যন্ত ৩দিন বন্ধ ছিলো সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলো। তবে ৯ তারিখ অফিস খুললেও দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্তিতি ছিলো নগন্য। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক কাটিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছেন কয়েক হাজার যাত্রী। বাড়তি যাত্রীর উপস্থিতিতে টার্মিনালগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে জনদুভোর্গ। দক্ষিণাঞ্চলের উভয় যোগাযোগ মাধ্যম লঞ্চ ও বাসস্ট্যান্ডে উপচে পড়া মানুষের ঢল। যাত্রীসেবার জন্য বরিশাল আধুনিক নৌবন্দর থেকে মোট ১০টি লঞ্চ নির্ধারিত সময়ে ছাড়লেও কমছে না যাত্রী দুর্ভোগ। প্রতিটি লঞ্চেই ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিচ্ছে।

 

সুত্র মতে প্রতিটি লঞ্চে ২হাজার যাত্রী নেয়ার কথা থাকলেও সেখানে ৪হাজারের বেশি যাত্রী বহন করা হচ্ছে। যাত্রী নিরাপত্তার কথা নাভেবে লঞ্চ মালিকরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে কামিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এক্ষেত্রে বিআইডাব্লিউটিএ অবস্থা যেন দেখেও না দেখার ভান করছে।