বিদেশ পাঠানোর নামের ভাগ্নেদের সাথে প্রতারনা – মামা-মামির অত্যাচারে অতিষ্ঠ গৌরনদীর কলেজ ছাত্র সাদ্দাম ও তার পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিদেশ নামের সোনার হরিনকে খুঁজে পাবার আশায় মামাদের হাতে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিলো বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার চরগাধাতলী মহল্লার বাসিন্দা কলেজ ছাত্র সাদ্দাম ও তার ভাই টুটুল। কিন্তু প্রতারিত হয়ে আজ তারা নিঃস্ব। বিদেশ পাঠানোতো দুরের কথা টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানী করছে তাদের মামা-মামিসহ তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা।

কলেজ ছাত্র সাদ্দাম হোসেনের পিতা হাজ্বী বাদশা মিয়া অভিযোগ করেন, তার পুত্র টুটুল ও সাদ্দামকে ফ্রি ভিসায় সৌদিআরবে পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে ২০০৯ সনে তার শ্যালক মোহাম্মদ আলী ৪ লাখ ও হায়দার আলী আড়াই লাখ টাকা গ্রহন করে। কিন্তু তাদের বিদেশ না পাঠিয়ে তারা নানান তালবাহানা করে। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকে বসা হলে মোহাম্মদ আলী তার স্ত্রী জোসনা বেগমের মাধ্যমে দেড় লক্ষ টাকা ফেরত দেয়। কিন্তু হায়দার আলী কোন টাকা ফেরত না দিয়ে তার ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে হয়রানি শুরু করে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, টাকার জন্য চাপপ্রয়োগ করা হলে তার কলেজ পড়ুয়া পুত্র সাদ্দামের বিরুদ্ধে মিথ্যে চাঁদাবাজির ঘটনা রটিয়ে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্ঠা চালায়। হয়রানির উদ্দেশ্যে তারা গৌরনদী ও কালকিনি থানায় কলেজ ছাত্র সাদ্দামের বিরুদ্ধে একাধিক জিডি করেন। এছাড়াও গত জুলাই মাসে তার শ্যালকরা বোনের সম্পত্তি আত্মসাতের লক্ষে জোড়পূর্বক সাদ্দামের মা নুরজাহান বেগমের কাছ থেকে একটি সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। তিনি আরো জানান, সাদ্দামের মামাদের কারনে তার পরিবার ভীষন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সাদ্দামের লেখাপড়া নিয়েও তার পরিবার ভীষন উদ্বিগ্ন।

অতিসম্প্রতি সাদ্দামের মামি জোসনা বেগমের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা গৌরনদী নাহার সিনেমা হল সংলগ্নস্থানে বসে সাদ্দামকে ক্ষুরাঘাত করে আহত করে। টাকা ফেরত পেতে কলেজ ছাত্র সাদ্দাম ও তার পরিবারের লোকজন প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।