বিএম কলেজ ছাত্র কর্ম পরিষদের আমলনামা

শাহীন হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী ছাত্র কর্ম পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে বিএম কলেজসহ প্রশ্ন তুলেছেন গোটা দক্ষিণাঞ্চলবাসী। মিডিয়ার আলোচিত এই ছাত্র কর্ম পরিষদ তাদের ৩ মাসের মেয়াদে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এই প্রশ্ন যেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষগুলোর প্রাণের প্রশ্নের একটি। এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য গতকাল দৈনিক বাংলার বনে দ্বারস্থ হয় অধ্যক্ষ ননী গোপাল দাস’র। তিনি জানান, অস্থায়ী কর্ম পরিষদের নেতৃবৃন্দরা কলেজটির উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কলেজটির হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা যা এখনও জানে না। মাস খানেকের মধ্যে হাতে নেয়া এসব কর্মসূচি বাস্তবে রূপ নিলে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।

চলমান অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নাট্য সপ্তাহ, সাহিত্য সপ্তাহ, সমাজ সেবা কার্যক্রম, ফুটবল টুর্নামেন্ট, মুক্ত মঞ্চের সামনের ফাঁকা স্থানে পুকুর পাড়ে ৫টি বেঞ্চ ও ডাস্টবিন নির্মাণ এই কর্মপরিষদ কর্তৃক আয়োজিত হয়েছে। যার কার্যক্রম এখনও শেষ হয়নি। মাস খানেকের মধ্যে হাতে নেয়া এসব কার্যক্রম সমাপ্ত হবে। এতে প্রায় সব মিলিয়ে লাখ খানেক টাকা ব্যয় হতে পারে। যার বেশির ভাগই সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট ও সংশ্লিষ্ট কর্মপরিষদের তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। এ যাবৎ ম্যাগাজিনে লেখা প্রকামের জন্য লেখা জমা দিয়েছে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী। ওদিকে কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়ে অধ্যক্ষ ড. ননী গোপাল দাস জানান, ২০ জুলাই গঠনকৃত এই কর্মপরিষদ দিয়েই আপাতত কাজ চালানো হবে। তবে শিক্ষার্থী ও নেতৃবৃন্দদের সমন্বিত কোন দাবি থাকলে তা ভিন্ন কথা। পর পরই কর্মপরিষদের ভিপি মঈন তুষার জানান, কর্ম পরিষদ ৩ মাস মেয়াদী কোথাও লেখা আছে? ঠিক আছে মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচন দেয়া হোক। আমি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।

কর্ম পরিষদ থেকে যে সব কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে তাতে কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় হতে পারে এ প্রশ্নের জবাবে তুষার জানান, আসলে কলেজ কর্তৃপক্ষই সবকিছুর আয়োজন করেছে। আমরা শুধু তাদের সহায়তা করছি। একই সাথে তুষার নিজেও বাকসু নির্বাচনের দাবি জানান। সব দলের যোগসাজশে সঠিক নির্বাচন হরে পুনরায় তুষার ভিপি হবে বলে তার আত্মবিশ্বাস বলে মন্তব্য করেন তিনি।