আগৈলঝাড়ার জোড়া খুন : সুবিধা বাদীরা বেপরোয়া

আগৈলঝাড়ার চেংগুটিয়া গ্রামের বাড়ির ঘর ও গাছ বিক্রি করে দিয়েছে স্থানীয় সুবিধা বাদীরা। লাশ দাফন করা হয়েছে খুনের অভিযুক্ত হাসানের বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত ২১ আগষ্ট রোববার বিক্ষুব্ধরা জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামী হাসানের বাড়ির বসত ঘর একই এলাকার নারায়ন চন্দ্র হালদারের স্ত্রী লক্ষী রানী হালদারের কাছে ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। লক্ষী ঘর কেনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও হাসানের বসত ঘর তোলার জন্য ভিজানো কাটা গোল গাছও বিক্রি করে দিয়েছে স্থানীয়রা। এদিকে মামলার অপর আসামী ইসমাইলের একটি নসিমন ট্রলি ও বাড়ির গাছও আগেই বিক্রি করে দিয়েছিল তারা। রহিমের লাশ দাফন করার পর পরই বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি প্রধান খুনি হাসান হাওলাদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়েছিল। নির্মম হত্যার স্বীকার রহিমকে দাফন করা হয়েছে হাসানের বাড়িতে ! যা ইচ্ছা তাই করছেন এলাকার লোকজন। তারা যা করছেন তাই কি দেশের প্রচলিত আইন? প্রকাশ, ১৪ আগষ্ট রোববার রাতে চেঙ্গুটিয়া বাজার থেকে কালকিনি যাওয়ার কথা বলে একই এলাকার কান্দিরপাড় গ্রামের হাচান হাওলাদার ও ইসমাইল হাওলাদার সুমনের মটরসাইকেল ভাড়া করে। এসময় সুমন তার বন্ধু ভ্যানচালক কান্দিরপাড় চেঙ্গুটিয়া গ্রামের নজরুল হাওলাদারের ছেলে রহিম হাওলাদারকে (১৭) সাথে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কালকিনি থানার খিলগ্রামে ধারালো চাকু দিয়ে উপর্যুপুরি কুপিয়ে নির্মমভাবে সুমন ও রহিমকে হত্যা করে হাসান ও ইসমাইল সুমনের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় আক্কেল আলী বাদি হয়ে কালকিনি থানায় হাসান ও ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে আরও অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেছে। যার নং-১৫(১৫/৮/২০১১)। আত্মগোপনে থাকা হাসান ও রহিম পটুয়াখালী লঞ্চে পালাতে গিয়ে ১৬ আগষ্ট সৈকত-৮ লঞ্চের আনসারদের হাতে গ্রেফতার হয়। ওই রাতেই মীর্জাগঞ্জের কাঠালতলীর একটি পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে সুমনের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। এব্যাপারে রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার বলেন, হাসানের ঘর বিক্রি করা হয়নি। যেখানে যেমন ছিল তেমনই আছে।