গৌরনদীর তরুণীরা ছুটছেন কসমেটিকসের দোকানে

রংয়ের সাথে মিলিয়ে চুরি থেকে শুরু করে কান ও গলার সেট ও কসমেটিকসের দোকানে তরুণীদের ভীড় বাড়ছেই। সাধারণত যে সকল দোকানে কসমেটিকস বিক্রি সেসব দোকানেই কম-বেশি চুরি পাওয়া যায়। তাই কসমেটিকসের পাশাপাশি নানান রং বাহারী চুরিও ক্রয় করছেন ক্রেতারা। এখানের ক্রেতারা চুরির জন্য উপজেলার ঐতিহ্যবাহী টরকী বন্দরে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। সেখানে কসমেটিকসের সাথে চুরির বেশ কিছু দোকান রয়েছে।
টরকী বন্দরে ও গৌরনদী বন্দরে রয়েছে মেয়েদের নানা ধরনের গহনার ছোট ছোট দোকান। চুলের ক্লিপ, হাতের চুড়ি, পুঁতির মালা, লাল-নীল রঙের টিপসহ অনেক ধরনের সাজগোছের জিনিস বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের এই দোকানগুলোতে। এছাড়াও কাটপট্টি রোডের রেশমী, সোনার কাকন, গহনালয়, মোহিনী, গৃহলক্ষী সাতরংয়ে এবার নতুন ডিজাইয়ের চুরি পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও ওয়াজেদ আলী মার্কেটে,সরদার কসমেটিকস, সিঙ্গাপুর কসমেটিকসে পাওয়া যাচ্ছে মেয়েদের কসমেটিকস থেকে শুরু করে নানান রংয়ের চুরি। টরকী বন্দরে চুরি কিনতে আসা মিতু আক্তার জানান, এ মার্কেটে কসমেটিকস ও চুরির দাম একটু চড়া। কিন্তু নতুন নতুন ডিজাইন পেতে হলে এখানেই আসতে হয়। তবে এবার গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে পাওয়া যাচ্ছে তাক লাগানো সব চুরি। বাসস্ট্যান্ডে চুরি কিনতে আসা তানিয়া আক্তার  জানান, এখানে সবচেয়ে নতুন কালেকশন পাওয়া যায়। তাই সে এবার ঈদের প্রশাসধনী এখান থেকে ক্রয় করবে।
দোকান মালিক খাইরুল হাওলাদার জানান, এবার মেয়েদের হাতের শোভা বর্ধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের চুরি এসেছে। তবে ভারতীয় চুরির মধ্যে দেবদাস, ভেনাস, ঝুমকা ও বোম্বের চাহিদা খুব বেশী। পাকিস্তানীও কিছু চুরি এসেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, আগের মত কাচের চুরির তেমন কদর নেই। এখন যে চুরিগুলো ক্রেতারা পছন্দ করছেন এর বেশীরভাগ মেটালের তৈরী। এসব দোকানে ৪০ টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত চুরির সেট রয়েছে। মেয়েরা শাড়ি ও থ্রি-পিচের রংয়ের সাথে মিলিয়ে কিনছেন পাথর বসানো সিটি গোল্ডের সেট ও চুরি। এ সকল চুরির সেট ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। আঞ্জুমান ট্রেড সে বিভিন্ন ধরনের সেট বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৫ হাজার টাকায়।
ক্রেতা রেখা খানম জানান, ঈদের পূর্ব মুহুর্তে ভিড় থাকায় পছন্দসই চুরি কিনতে গিয়ে বেশী সমস্যায় পড়েন।  তাই তিনি একটু আগে ভাগেই একটু দেখে শুনে শাড়ীর সাথে ম্যাচ কওে দেড় হাজার টাকায় একটি সেট কিনেছেন।