উজিরপুরে একটি হত্যা মামলায় গ্রামবাসীকে হয়রানির অভিযোগ

তালুক গ্রামের শতশত সাধারন মানুষ একটি হত্যামামলাকে কেন্দ্র করে হতাশা, চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনায় ফুসে উঠছে।

সরেজমিনে এলাকাবাসীদের প্রত্যক্ষ অভিযোগে জানা যায় উত্তর মুন্সির তাল্লুক গ্রামের দিন মজুর কৃষ্ণ ওঝার মেয়ে সুনন্দা ওঝার নতুন জামাই একই গ্রামের সতীশ ঢালীর ছেলে শ্যামল ঢালী ১৪ আগষ্ট রবিবার সকালে শ্বশুর বাড়ী বেড়াতে আসে। সারাদিন শ্বশুরবাড়ীতে আনন্দে কাটালেও রাতে সকলে ঘুমিয়ে পড়লে জামাই শ্যামল ঢালী শেষ রাত তিনটার দিকে উঠে নিজেই পানি পান করে শূয়ে পড়ে। কিছুক্ষন পড়ে সে ছটফট করতে থাকলে স্ত্রী সুনন্দা ঘরের সকলকে ডেকে তুললে শ্যামলের হাতে ও মুখে তারা দানা দানা জাতীয় (ফুরাডন- কীটনাশক) দেখতে পায় এঅবস্থায়  ওই রাতেই গ্রামের ডাক্তার দুলাল ওঝার স্মরনাপন্ন হলে তিনি দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। বিল অঞ্চল খ্যাত ওই গ্রাম থেকে নৌকা ও ভ্যানযোগে শ্যামলকে প্রথমে গৈলা ও পরে উজিরপুর হাসপাতালে আনা হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষনা করে। এঘটনায় মৃত শ্যামলে ভাই সতীশ ঢালী বাদী হয়ে ১৫ আগষ্ট রাতে উজিরপুর থানায় ওই গ্রামের নিরিহ  সাতজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ শ্যামলের স্ত্রী সুনন্দা , দুই শ্যালক, প্রফুল্ল ওঝা ও মনোরঞ্জন ওঝাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে।

জল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উর্মিলা বাড়ৈ অভিযোগ করছেন , গত ২৯ মার্চ ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতাকারী এক পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মৃত শ্যামলের ভাই সুধীর ঢালীকে প্ররোচিত করে এলাকার নিরিহ ডাঃ সুভাষ বিশ্বাস , অমূল্য হাওলাদার ও তার ছেলে অসীম হাওলাদারকে নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে সম্পূর্ন রাজনৈতিক ভাবে হয়রানি করার লক্ষ্যে এই হত্যামামলায় আসামী করে এলাকায় বিক্ষোভের ঝড় তুলেছে। কারন নির্বাচনে পরাজিত ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে আসামীরা কেহই কাজ না করায় ওই প্রার্থী উত্তর মুন্সীর তাল্লুক গ্রামের অসহায় সাধারন মানুষদের বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে বলে শত শত নারী পুরুষ একত্রে অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবী সতীশ ঢালীর ছেলে ও কৃষ্ণ ওঝার জামাই শ্যামল ঢালী তার বাবা মায়ের সাথে অভিমান করে শ্বশুর বাড়ি এসে গভীর রাতে সকলের অজান্তে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে। এঘটনায় নিরিহ ঘুমন্ত গ্রামবাসী কি করে হত্যা মামলার আসামী হলো? এ প্রশ্ন পুরো জল্লা ইউনিয়নের সচেতন মহলের।

এব্যাপারে বাদী সুধীর ঢালীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমার ভাই মারা গেছে, আমার মাথা ঠিক ছিলনা। যে যেভাবে বলেছে আমি সেভাবে মামলা করি। উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকুমার রায় ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই লুৎফর রহমান বলেন এ মামলাটি সর্ম্পকে ভিন্নভিন্ন মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। তবে খুব বিচক্ষনতার সাথে মামলার তদন্ত চলছে, যাতে কোন নির্দোষ মানুষ এ মামলায় অযথা হয়রানি না হয়।