মানবতাবিরোধীদের মুক্তির দাবিতে ব্যাপক পোষ্টারিং

বিচারের রায় যখন অতিসন্নিকটে, ঠিক তখনই ওইসব চিহ্নিত মানবতাবিরোধীদের মুক্তির দাবিতে শনিবার (৩০ জুলাই) গভীর রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক পোষ্টারিং করা হয়েছে।

রবিবার ভোরে মানবতাবিরোধীদের ছবি সংবলিত পোষ্টারিং সাটানো দেখে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নাম ব্যবহার করে পোষ্টারিং করা হলেও কেবা কারা রাতের আধাঁরে এ পোষ্টার সাটিয়েছেন তাহা নিশ্চিত করে কেহ বলতে পারছেন না। তবে এটা একটি নতুন ষড়যন্ত্রের কৌশল বলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা দাবি করেছেন।

সাটানো পোষ্টারে উল্লেখ করা হয়, “মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বিনা বিচারে একবছর যাবত আটক মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইদী, জনাব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জনাব মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, জনাব আব্দুল কাদের মোল্লা, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং জনাব আতাউর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সর্বশেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র নাম উল্লেখ করা হয়” নিজামী-সাইদী ও মুজাহিদের রঙ্গিন ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সাটানো পোষ্টারে।

’৭১ সনের গৌরনদী তথা এতদাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কামন্ডার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বুলেট ছিন্টু বলেন, সেই দিনের (যুদ্ধচলাকালীন সময়ের) চিহ্নিত মইত্তা রাজাকারসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীগো নাম ও ছবি দিয়া যারা পোষ্টারিং কইরা অগো মুক্তি চাইছে, আর যারা এই পোষ্টার রাইতের অন্ধকারে লাগাইয়া গ্যাছে হ্যাগো বিচরাইয়া (খুঁজে) বাইর কইরা গ্রেফতার করা উচিত। তিনি আরো বলেন, পোষ্টারে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে উল্লেখ করা হইছে, ইছ্ মুক্তির লাইগা হুমকি দেছে। তয় অরা (যুদ্ধাপরাধীদের অনুসারীরা) স্বাধীন দ্যাশের মধ্যে আবার কোন নতুন ঘটনা ঘটনাতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম বলেন, রাতের আধাঁরে কেবা কারা এ পোষ্টার লাগিয়েছে সে ব্যাপারে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।