বিনা রক্তপাতে ১/১১ ষড়যন্ত্র হলেও ভবিষ্যত সংঘাতময়

“পালকি” সেন্টারে তারেক আন্তর্জাতিক পরিষদের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দেশ বরেন্য কলামিষ্ট শফিক রেহমান দেশের রাজনীতি নিয়ে ভয়ানক ভবিষ্যত বানী করেছেন।

 দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপরে আয়োজিত এই সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিল’ ‘বাংলাদেশের মানবাধীকার লঙ্ঘন ও বিপন্ন গনতন্ত্র”। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংঠনের সভাপতি আক্তার হোসেন বাদল ও পরিচালনা করেন পর্যায়ক্রমে সংঠনের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আফসানা আমিন ও সাধারন সম্পাদক রাফেল তালুকদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম।

প্রায় ৩০ মিনিট ব্যাপী বক্তব্যে প্রধান অতিথি প্রথমেই তারেক রহমানের শারীরিক অবস্থার বর্ননা করেন। সম্প্রতি দেখে আসা তারেক রহমানের শারীরিক ও মানুষীক অবস্থার বিবরন শুনে উপস্থিত অনেকেই কেদে ওঠেন। সুস্থ টগবগে এক যুবক আজ পঙ্গত্ব বরন করতে যাচ্ছেন এমন কথা শুনে অনেকেই চিৎকার করে মঈন-ফকরের বিচারের দাবীতে স্লোগান দিতে থাকেন। বর্তমান সরকারের আমলে সাধারন নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা না থাকায় তারেক রহমানের দেশে ফিরে যাওয়া নিয়ে আশংকা প্রকাশ করে তিনি বলেনঃ যদি দেশবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে এবং বেগম খালেদা জিয়া প্রধান মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তাহলেই কেবল তারেক রহমানের দেশে ফিরে যাওয়া সম্ভব অন্যথায় তারেক রহমানের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।

বর্তমান সরকারের হাতে গনতন্ত্র বলে কোন কথা নেই, মানবাধীকার লঙ্ঘনের সকল ইতিহাস ছাড়িয়ে গেছেন এই সরকার। তাই মুলধারার নীতি নির্ধারকদের কাছে মানবাধীকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরে সরকারের অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে সকল প্রবাসীদের আহবান জানান। মুলধারায় সম্পৃক্ত হয়ে দেশ সেবায় বেশী অবদান রাখা যায় বলেও পরামর্শ দেন তিনি।

দেশ বিরোধী চুক্তি সাক্ষর, পুলিশ বাহিনীকে গুন্ডা বাহিনী হিসেবে কাজে লাগানো, দেশকে ইচ্ছাকৃত ভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়া নিয়ে ১/১১ মত কোন ষড়যন্ত্রের আশংকা করছেন তিনি। ১/১১ ষড়যন্ত্রে কোন প্রানহানী না ঘটলেও এবারের পরিস্থিতিতে অনেক প্রানহানী ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শফিক রেহমানকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে বরন করে নেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম ডালিম। স্বরচিত কবিতা উপহার দিয়েছেন আফসানা আমিন।

অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করতে প্রধান সমন্ব্কারীর দায়ত্বে নিয়োজিত ছিলেন ভিপি জসিম উদ্দিন জসিম এবং আহবাক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন অধ্যক্ষ নুরুল আমীন পলাশ।

এছাড়া বিশেষ অতিথি নাজিম উদ্দিন আলম কে ক্রেষ্ট উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আয়োজক বৃন্দ। নাজিম উদ্দিন আলম তাঁর বক্তব্যে সরকারের মানবাধীকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আগামী ২২ শে জুলাই পৃথিবীব্যাপী বাংলাদেশ দুতাবাস ঘেরাও ও গন বিক্ষোভে সকল সচেতন প্রবাসীকে যোগদানের আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনঃ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আজমল হোসেন কুনু, যুবদল সাধারন সম্পাদক আবু সাইয়েদ আহমেদ সহ আরো অনেকে।

দেড় শতাধিক প্রবাসীদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান নৈশভোজের মাধ্যমে সমাপ্তি করা হয়।