বরিশাল ছাত্রলীগে পদ পেতে ৪ ক্যাডারের দৌঁড়ঝাপ

জেলা কিংবা মহানগরে গুরুত্বপূর্ন পদ পেতে ছাত্রলীগ বিতর্কিত ৪ ক্যাডার লক্ষ্যনীয়ভাবে দৌঁড়ঝাপ করে আসছে। বলা যায় অনেকটা মরিয়া হয়ে উঠেছে পদ পেতে। এক্ষেত্রে টাকা দিয়ে হলেও পদ কেনায় ব্যতিব্যস্ত তারা। বিতর্কিত এই ক্যডাররা হলো মামুন হোসেন বাবলু জোমাদ্দার, শাওন,আবদুর রাজ্জাক ও দেওয়ান অসীম।

এদের মধ্যে বাবলু ও রাজ্জাক বিবাহিত ও অছাত্র। এছাড়া বাবলুর নামে জোমাদ্দার কনস্ট্রাকশন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আ’লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসীনের পর বাবলু সু কৌশলে তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে লাখ লাখ টাকার কাজ ভাগিয়ে নিচ্ছে। সরকারী সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পূক্ত থাকার বিষয়টি বাবলু জাহির করলেও মুলত কলেজে তার ছাত্রত্বই নেই। এই বাবলুর বিরুদ্ধে রয়েছে অন্তহীন অভিযোগ। অপর ছাত্রলীগ ক্যাডার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে রক্তক্ষীয় সংর্ঘষের মুল হোতা আবদুর রাজ্জাক। তারও ছাত্রত্ব নেই। এরপরও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একের পর এক অন্যায় অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে রাজ্জাকের দখল সন্ত্রাসের বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় বিপ্লব নামের এক যুবক সাধারন ডায়রী করেছেন। বিপ্লবের প্রতিষ্টিত তরঙ্গ কোচিং সেন্টার দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরবাইরে রাজ্জাকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আ’লীগের একাধিক শীর্ষ নেতাদের মামা,খালু’র আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যাকলাপ করে আসছে। অন্যদিকে মাদক ব্যাবসায়ী হিসাবে পরিচিত শাওনও ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ন পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ছাত্রলীগের কোন কর্মসূচীতে বা মাঠের কর্মী না হয়েও কাউনিয়ার অসিম দেওয়ান ভাইটাল পদে আসীনে উঠেপড়ে লেগেছে। এদিকে ছাত্রলীগের একাধিক ত্যাগী নেতা-কর্মীর ভাষ্য বিতর্কিত বাবলু,রাজ্জাক,শাওন ও অসীম সংগঠনের জন্য ক্ষতিকারক। সংগঠন গতিশীলের বিপরীতে এরা পথ চলছে।