পলিটেকনিকের সেই রাজ্জাককে নিয়ে বিপাকে পলিটেকনিক কলেজ ভর্তি কোচিং

এবার কোচিং সেন্টার দখল করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন। মহানগর ছাত্রলীগে পদ পত্যাশী এই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে গতকাল সন্ধ্যায় কোতোয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজ্জাক ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে পলিটেকনিক কলেজ ভর্তি কোচিং সেন্টার তরঙ্গের মালিক বিপ্লব ভৌমিকের কাছে দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় কিছুদিন পূর্বে বিপ্লবকে মারধর করে তরঙ্গ কোচিং সেন্টার দখলে নেন রাজ্জাক, রাজীব, সুমন, বাপ্পি, রেজা সহ ৭/৮ জনের একটি সন্ত্রাসী দল। দখলে নিয়ে নিজেই কোচিং সেন্টারের মালিক বনে যান রাজ্জাক এবং কোচিং ফি বাবদ ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে। এদিকে বিপ্লবকে বরিশালে না আসতে দেয়ার জন্য মোবাইলে অব্যাহত হুমকি প্রদান করে রাজ্জাক। যার মোবাইল রেকর্ডিং বিপ্লবের কাছে সংরক্ষিত আছে বলে তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। এছাড়া বিপ্লবের উপর বরিশাল ছাত্রলীগ নেতার অত্যাচারের বিষয়টি তিনি সিটি মেয়র এ্যাড. শওকত হোসেন হিরন ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়েদুল কাদেরকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন। সূত্র জানায়, বহু বিতর্কের জন্ম দেয়া এই ছাত্রনেতা নিজেকে অনেকটা সুবিধাবাদী ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত করিয়েছেন। কারণ তিনি কখনও নিজেকে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর কখনোবা আবার এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের পরিচয় দেন। বর্তমানে আবার তিনি নগরীতে মেয়র হিরনের কাছের লোক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।

সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ৪ জুন পলিটেকনিক কলেজে আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। যার নেতৃত্বেও ছিলেন রাজ্জাক। সেই ঘটনা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বদৌলতে দেশব্যাপী আলোড়ন করে। যা বরিশাল ছাত্রলীগের ইতিহাসে কলঙ্কের অধ্যায় হিসেবে আজও বিদ্যমান। এই ঘটনা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমসাময়িক রাজনীতিকে বরিশাল ছাত্রলীগ পেক্ষাপটে ভাবিয়ে তোলে। ঘটনার পরদিন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। গ্রেফতার হয় রাজ্জাক। কিন্তু সে যাত্রায়ও অনেকটা অলৌকিকভাবে রক্ষা পান রাজ্জাক। সেই রাজ্জাকই আবার এখন মহানগর ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে লবিং-তদ্বির চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে।