বরিশাল জিলা পরিষদের প্রশাসক আসনে কে!

রাজনৈতিক অঙ্গনে  বিষয়টি আলোচনায় আলোচিত হচ্ছে। প্রশাসক পদে আসীন হতে যাদের নাম বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে তারা হলেন বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিল’র জেলা কমান্ডার মোঃ কুতুব উদ্দিন(যুদ্ধকালীন কমান্ডার),বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগ’র যুগ্ন আহবায়ক অ্যাড.আফজালুল করিম, আওয়ামীলীগ নেতা কর্নেল(অব) জাহিদ ফারুক শামীম, আওয়ামীলীগ নেতা মাহাবুব উদ্দিন আহম্মেদ (বীর বিক্রম)। তবে কে হচ্ছেন প্রশাসক তা নিশ্চিত করে হাই কমান্ড ব্যথিত কেউ বলতে পারছেন না। যদিও এদের মধ্যে গোয়েন্দা রিপোর্ট,মাঠ জরিপসহ হাইকমান্ডে দৌঁড়ঝাপে এগিয়ে রয়েছেন,জেলা কমান্ডার,মোঃ কুতুব উদ্দিন,আওয়ামীলীগ নেতা মাহাবুব উদ্দিন আহম্মেদ(বীর বিক্রম), আফজালুল করিম,কর্নেল জাহিদ ফারুক শামিম । এদের মধ্যে থেকে যে কোন একজন প্রশাসক হওয়ার বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত।

যতদূর জানা যায়, কমান্ডার মোঃ কুতুব উদ্দিন আলাদা ইমেজ রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কুতুব উদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরে নিরবে বরিশাল জেলার সবকটি ইউনিয়নের উন্নয়নের নিজের সাধ্যমত ভূমিকা ও মতামত রেখে আসছেন। অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে দাড়িয়ে সেবার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার ১বছরের মধ্যে ৩৪৫ জন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় সরকারী চাকুরিতে সহযোগীতা করায় আলোচিত হয়েছে। বিশেষ করে সাধারন জনগনের মাঝে ক্লীনম্যান কুতুব উদ্দিন হিসাবে পরিচিতি ।
 
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা,বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার কুতুব উদ্দিন বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ এগিয়ে চলছে। ভিশন টোয়েন্টি টোয়েন্টি ওয়ান বাস্তবায়নের লক্ষে জননেত্রী জেলা পরিষদকে শক্তিশালী করনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রশাসক পদে আমাকে নিয়োগ দেয়া হলে জননেত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে দ্বায়িত্ব পালনে সক্ষম হব। তিনি আরো বলেন সাবেক চীফ হুইফ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও বিসিসি মেয়র শওকত হোসেন হিরনসহ আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের সহযোগিতা নিয়েই সুচারুভাবে দ্বায়িত্ব পালন করতে চাই। তিনি বলেন বাংলাদেশের ৫০টি জেলা কমান্ডার ও বরিশাল’র ১০টি উপজেলা ইউনিয়ন কমান্ডারগন তাকে সমর্থন দিয়েছেন।

অপরদিকে আফজালুল করিম বিগত সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু হাইকমান্ডের নির্দেশে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে তিনি ছাড় দিয়েছেন। ফলে রাজনীতিতে তার এই ত্যাগের কারনে প্রশাসক পদে নিয়োগ পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

আওয়ামীলীগ নেতা মাহাবুব উদ্দিন আহম্মেদ (বীর-বিক্রম) বলেন রাজনীতিতে আমার ত্যাগের বিষয়টি সকলেই অবগত। নেত্রী আমার সাংগঠনিক কর্মকান্ডে খুশি। এজন্য প্রশাসক পদে নিয়োগ পেতে তিনিই যোগ্য বলে দাবী করেন ।

কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম বলেন দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি জাতীয় সংসদে সদর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। অল্পের ব্যবধানে তিনি হেরেছেন। বরিশাল জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে নিজেকে যোগ্য বলে দাবী করে তিনি বলেন আমি আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থী। আর নিয়োগের বিষয়টি দলীয় সভানেত্রীর হাতে।

উল্লেখ্য সম্প্রতি আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সবকটি জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক্ষেত্রে নিয়োগ পাবেন দলীয়ভাবে যাদের ত্যাগ রয়েছে। দলীয়ভাবে যোগ্যতা দক্ষতা ও সততা বিবেচনা আনার কথা রয়েছে। এদের মধ্যে আওয়ামীলীগের জেলা মহানগরের নেতৃত্ব পর্যায়ের নেতারা প্রধান্য পাবেন। মহাজোটের শরীকরা এ পদে আসতে পারেন। সাবেক এমপি বা সাংসদ কিংবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এরকম নেতারা ঠাঁই পেতে পারেন। এ খবরের পরই জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে আসীন হতে নানামুখী দোঁড়ঝাপ করে আসছে বরিশাল আওয়ামীলীগের নেতারা।

প্রধানমন্ত্রীর এডুকেশনাল সোস্যাল ডেভলপমেন্ট এন্ড পলিটিক্যাল এ্যাফের্য়াস্ এ্যাডভাইজার প্রফেসর ড. আলাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন বিষয়টি সর্ম্পূন্ন গোপনীয় বিষয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ যানে না কে হবে বরিশাল জেলা পরিষদ’র প্রশাসক। তিনি আরো বলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক পদটি উপমন্ত্রীর পদ মর্যাদা এ পদে প্রথম বিবেচনায় আসবে সাবেক সংসদ সদস্য,সাবেক বিভাগীয় কমিশনার,সাবেক সচিব,অবসর প্রাপ্ত উর্ধতন সেনা কর্মকর্তা ও জেলার শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। তিনি বলেন গোয়েন্দা রিপোর্ট,মাঠ জরিপসহ সকল কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে। এরপর মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিবেন। তবে যারা এ পদটি পাবেন তারা আগামী জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে নির্বাচন করতে পারবেন না।