বিএম কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের সম্পাদকের সাথে জামায়াত নেতার গোপন বৈঠক

আওয়ামীলীগের একাধিক শীর্ষ নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ড করে চলছেন। এই শিক্ষক নেতার এহেন কর্মকান্ডে ক্ষুদ্ধ খোঁদ আওয়ামীলীগের র্শীর্ষ নেতারা। সম্প্রতি শিক্ষক পরিষদে মহানগর জামায়াত নেতার সাথে শিক্ষক নেতার গোপন বৈঠকের ঘটনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে পুরো ক্যাম্পাসে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৯৬’র আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বি.এম কলেজে শিক্ষক পদে কর্মরত থেকেও নানাবিধ অন্যায় অনিয়মের বিতর্কের জন্ম দেন এএসএম কাইয়ুম উদ্দীন। আ’লীগ নেতৃতাত্বাধীন মহাজোট সরকারের আমলে ফের দাপটে বিএম কলেজে আর্ভিবাব ঘটে কাইয়ুম উদ্দীনের। এখানে আসার পরই কৌশলে অবৈধ পন্থায় নির্বাচন ব্যাতিত স্টাফ কাউন্সিলের সেক্রেটারী পদ বাগিয়ে নিতে সক্ষম হন। মুলত এরপরই শুরু হয় তার ক্ষমতার দাপট দেখানো। কলেজের সকল শিক্ষককে তিনি জিম্মি করে নিজের ইচ্ছেমত অনিয়মের মাধ্যমে পকেটে তুলে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। তিনি আ’লীগের একাধিক নেতার কাছের লোক পরিচয় দিয়ে কৌশলে দাপট দেখিয়ে অর্থনৈতিক ফায়দা লুটেন। বিষয়টিতে নাখশ কলেজের আ’লীগ পন্থী শিক্ষকরাও। এছাড়া ছাত্রলীগেরও একাধিক নেতা-কর্মী এএসএম কাইয়ুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ রয়েছে শিক্ষক নেতা কাইয়ুম প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ও স্বাস্থ্য সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা কমিটির সদস্য থেকে নিয়োগ বানিজ্যে করেছেন। বিভিন্ন জনকে চাকুরী দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন। কলেজের একটি সূত্র জানায়, বিগত আ’লীগ সরকারের আমলের বাকসুর টেলিভিশনটা শিক্ষক নেতা কাইয়ুম আত্মসাত করেছেন। তিনি কলেজ ফান্ডের টাকাও আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কলেজের গাছ কেটে অর্থ আত্মসাত করারও অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে শিক্ষক নেতা আ’লীগের নাম জাহির করে দাপট দেখালেও জামায়াতের সঙ্গে রয়েছে তার গভীর সখ্যতা। বরিশাল মহানগর জামায়াতের সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খসরুর সঙ্গে শিক্ষক পরিষদে এক গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। জামায়াত নেতার সঙ্গে তার গোপন বৈঠকের বিষয়টি ক্যাম্পাসে এখন আলোচনায় আলোচিত হচ্ছে। নিরবে ক্ষোভ প্রকাশ করছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। অপরদিকে নিয়মানুযায়ী সরকারী চাকুরীতে কোন ব্যাক্তির দ্বৈত্ত নাগরিকত্ব থাকার বিধান নেই। অথচ এএসএম কাইয়ুমের দ্বৈত নাগরিত্ব থাকার পরও অদৃশ্য কারনে তিনি দাপটে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তার আমেরিকা ও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব রয়েছে।

এদিকে জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম খসরু বলেন শিক্ষক নেতা এএসএম কাইয়ুম উদ্দিনের সাথে তার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তবে গোপন বৈঠকের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। বিএম কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের সেক্রেটারী এএসএম কাইয়ুম উদ্দিন বলেন জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম খসরু একটি কলেজের অধ্যক্ষ। শিক্ষক হিসাবে সে আমার নিকট আসতেই পারে। তিনি জানান গোপন বৈঠকের কোন বিষয় নয়। জামায়াত নেতা এসেছিল শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করতে। এর বাইরে কোন আলোচনা হয়নি। শিক্ষক নেতা কাইয়ুমের বিরুদ্ধে আনীত অন্যান্য অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন।