সাতলায় মৎস্য প্রকল্পের নামে

মাস দুয়েক পূর্বে সাতলা ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান হাওলাদার, স্থনীয় প্রভাবশালী রুবেল বালী, ইলিয়াস হাওলাদার, মতলেব সরদার, নরেশ সিকদার, সাইদুল মোল্লা, আলমগীর হাওলাদার তাদের অনুসারী হাতেগোনা কয়েক জনকে ম্যানেজ করে তথাকথিত একটি কমিটির নাম দিয়ে উল্লেখিত স্থানে মৎস্য প্রকল্প তৈরীর নামে ফসলী জমির উপর ঘের তৈরী শুরু করে। পরিকল্পিত ওই মৎস্য প্রকল্পের অভ্যন্তরে প্রায় দুই শতাধিক জমির মালিকে ওই ক্ষমতাধররা কিছুই জানায়নি। ভুক্তভোগী জমির মালিকরা বেশীর ভাগ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় দোর্দন্ড প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে টুশব্দটি করতে গেলেই নির্যাতনের খর্গ নেমে আসবে এ ভয়ে কিছুই বলে উঠতে সাহস পাচ্ছেনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জমির মালিক জানান ইতো পূর্বে উল্লেখিত প্রভাশালীদের অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে তাদের প্রত্যক্ষ ও নেপথ্যে রোশানলে পরে অনেক পরিবারকেই মিথ্যা মামলা মকদ্দমায় ফসানো সহ নানা ভাবে মাসুল গুনতে হয়েছে। ওই এলাকার জণৈক স্কুল শিক্ষক জানান যারা প্রকল্পের নামে কাজ শুরু করেছেন বিগত জোট সরকারের সময়ও তাদের ক্ষমতার দাপটে এলাকার মানুষ ছিল তটস্থ। এখন আবার আওয়ামীলীগের দোহাই দিয়ে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যা ইচ্ছে তা করে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা তাদের জমি রক্ষায় প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন। সাতলা ইউনিয়নের অপর প্রাক্তন চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খালেক আজাদের বিরুদ্ধেও একাধিক জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয় প্রক্তন চেয়ারম্যান ফজলুল রহমানের নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে বলেন, আমি এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে আছি থাকব। তাদের উপর অবিচার হলে নিশ্চই প্রতিবাদ করব। তিনি আরো বলেন সকল জমির মালিকের সম্মতি না হলে এ প্রকল্পের বৈধতা দাবী করা যাবেনা।