বরিশালের সেতু হত্যা মামলা ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে

নিস্ক্রিয়তায় ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। অদৃশ্য কারনে দীর্ঘদিন যাবত মামলার গতি থমকে রয়েছে। ইতোমধ্যে সেতু হত্যার ঘাতক রতন আর বাদীর মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠায় আসামী রতন নিজে বাদী হয়ে তার পরিবারের অন্যদের জড়িয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। এক্ষেত্রে সেতুর পিতা আর ঘাতকের মধ্যে কয়েক লাখ টাকার দেনদরবারের রফাদফা হয়েছে। ফলে মামলাটির ভকিষ্যাত এখন পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কাউনিয়া ছোট মিয়ার গলির গৃহবধু সেতুর  পিতার নাম নান্না মিয়া। পরকীয়া প্রেমের জের ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে স্বমী রতন বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে সেজুতির প্রান কেড়ে নিয়ে ছিল । বরিশাল নগরীর আমানতগঞ্জের নান্না মিয়ার মেয়ে সেজুতি জাহান সেতুকে এইচএসসি পরীক্ষার কিছু দিন পূর্বে রাস্তা থেকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ে করে কাউনিয়া এলাকার ঠিকাদার রতন । এরপর সেতুর পরিবার মেয়ের কথা ভেবে রতনের সাথে বিয়ে মেনে নেয়। কিন্তু যৌতুক লোভী ও মদ্যপায়ী রতন কিছু দিন পরই সেতুর উপর নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে সেতুর বাবা নান্না মিয়া যৌতুক হিসেবে জামাতা রতনকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল। কিন্তু তাতেও শেষ  রক্ষা হয়নি। সেতুর এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষার মাঝে গত ৩০ মে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় সেতুর বাবা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করে।


স্থানীয় সূত্র জানায় দীর্ঘ দিন ধরে রতন তার চাচাতো বোন নাহারের সঙ্গে পরকীয়া প্রেম করে আসছিল। পরকীয়া প্রেমিকা নিয়ে রতন বিভিন্ন স্থানে ঘুরেও বেড়াত। এ নিয়ে সেতুর সঙ্গে রতনের কথার কাটাকাটিতে মনোমালিন্যও ঘটেছিল। পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় সেতুকে মারধর করা হত।ঘটনার আগের দিন প্রেমিকাকে নিয়ে কুয়াকাটা  ঘুরতে যায় রতন। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে আসার পর সেতুর সঙ্গে কথার কাটাকাটি হলে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।


এদিকে সেতু হত্যার ঘাতক রতন পার পেতে বর্তমানে নান্না মিয়ার সঙ্গে আপোষ মিমাংশা হয়েছেন। আর আপোস হলেই রতনের ব্যাক্তিগত শত্রু ঘায়েল করতে সেতু হত্যা মামলায় নিরীহদের অন্তভূক্ত করবে বলে জানাগেছে। সম্প্রতি বরিশাল আদালতে রতন বাদী হয়ে পুনরায় সেতু হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় রতন তার পারিবারিক শত্রুকে ঘায়েল করেতে নিরীহদের আসামী করছে।


নান্না মিয়া জানান তিনি মেয়ে হত্যার বিচার চান। রতনের সাথে টাকারলেনদেনে মিমাংসার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন হত্যা মামলার বিষয়ে মিমাংসায় এক বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।


কাউনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সেতু হত্যার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান মামলাটি শীগগিরই নিস্পত্তি করা হবে।মামলার তদন্ত কাজ সম্পন্নের পথে।যদিও এখন পর্যন্ত ফাইনাল রিপোর্ট বা চার্জশীটের ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।