১০দিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন

কুসুম বেগমকে (২০) গত দশদিন ঘরের একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজনে। বাড়ির লোকজনের সহায়তায় এলাকাবাসি  মুর্মুর্ষ অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে নববধূকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

নববধূ কুসুম বেগমের অভিযোগে জানা গেছে, গত ৩৯ দিন পূর্বে রহমতপুরের রামপট্টি গ্রামের মৃত কদম আলী খানের পুত্র আবুল খানের সাথে তার (কুসুমের) সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবুল ও তার পরিবারের লোকজনে কারনে অকারনে কুসুমের ওপর শারিরিক নির্যাতন শুরু করে। কারন হিসেবে কুসুম জানায়, তার স্বামী আবুল খান পূর্বে লিপি বেগম নামের একজনকে বিয়ে করেন। ওই ঘরে তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তাকে (কুসুমকে) বিয়ে করার সময় সু-চতুর আবুল ও তার পরিবারের লোকজনে কুসুমের পরিবারকে জানিয়েছিলেন প্রেমের টানে লিপি তার পুত্র সন্তানকে নিয়ে এক যুবকের হাত ধরে পালিয়েছে। পরবর্তীতে তাকে তালাক দেয়া হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই পূর্বের স্ত্রী লিপিকে ঘরে তুলতে আবুল মরিয়া হয়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় একাধিকবার কুসুমকে তার বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য শারিরিক নির্যাতন চালিয়েও ব্যর্থ হয় আবুল।

কুসুম আরো অভিযোগ করেন, গত ৩১ অক্টোবর রাতে তার স্বামী আবুল খান, জ্যা খাদিজা ও রাবেয়া মিলে জোড়পূর্বক তাদের ঘরের একটি কক্ষে আটকিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে বিবস্ত্র করে তার গোপনাঙ্গে আঘাত করায় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এভাবেই গত দশদিন ঘরের একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে তার (কুসুমের) ওপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন। একপর্যায়ে নববধূর আহাজারিতে বাড়ির লোকজনে বিষয়টি এলাকাবাসিকে জানালে তারা গত মঙ্গলবার রাতে মুর্মুর্ষ অবস্থায় নববধূকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।