ওএমএসের চাল কিনতে এসে খালী ব্যাগ নিয়ে ক্রেতারা বাড়ি ফিরছে

ডিলার নিয়োগ করেছে। গতকাল সকাল ১১টায় আগৈলঝাড়া বাজারের ওএমএস ডিলার মান্নানের দোকানে গিয়ে কোন চাল বিক্রি করতে দেখা যায়নি। এসময় ডিলার বা তার কোন লোকও পাওয়া যায়নি। কয়েকজন ক্রেতা চাল কিনতে এসে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওএমএসের চাল গেল কই? প্রতিদিন ১টন চাল একজন ডিলার বিক্রির জন্য উত্তোলন করতে পারে। তদারকি কর্মকর্তারা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন না করার কারণে কতিপয় ডিলার অসাধু পন্থা অবলম্বন করছে।

ক্রেতা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা সদরের চালের বাজার নিয়ন্ত্রনের জন্য সরকার ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রির জন্য ৫ জন ডিলার নিয়োগ করে। তারা হলেন- গিয়াস উদ্দিন হাওলাদার, হান্নান মোল্লা, মান্নান হাওলাদার, অমূল্য হালদার ও রমনীকান্ত সরকার। তারা ডিলার প্রতি দৈনিক ১টন করে চাল খোলাবাজারে বিক্রির জন্য খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করার কথা থাকলেও খাদ্য গুদামের ওসি-এলএসডি প্রতিদিন ডিলারদের চাল না দিয়ে ৬দিনের চাল সপ্তাহের একদিন উত্তোলন করতে দেন। দু’একজন ডিলারের দোকানে চাল দেখা গেছে। ডিলাররা চাল একসাথে উত্তোলন করে খোলাবাজারে চাল বিক্রি না করে অধিক মুনাফার লোভে কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজন ক্রেতা চাল ক্রয় করতে এসে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিরে গেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ক্রেতারা জানান, আমাদের গরীব দুঃখীর জন্য সরকার নেয্যমূল্যে চাউল দিলেও তা আমরা পাচ্ছি না। চাউল নিতে এসে খালি ব্যাগে বাড়ি ফিরতে হল আমাদের। তদারকি কর্মকর্তারা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন না করার কারণে ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের নামে। তদারকি কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, এধরণের অভিযোগ প্রমানিত হলে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া এবং তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।