প্রবেশপত্রের নামে জেএসসি পরীক্ষায় অর্থ আদায়ের অভিযোগ

সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্রের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় আগৈলঝাড়া উপজেলায় ১টি কেন্দ্র ও ৪টি ভেন্যুতে উপজেলার ৬টি মাদ্রাসা ও ৩২টি মাধ্যমিক স্কুলের ২ হাজার ১৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। উপজেলা সদরের ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমীতে মুল কেন্দ্র ছাড়াও উপজেলার বড়বাশাইল, গৈলা, বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং এস.এম বালিকা বিদ্যালয়ের ৪টি ভেন্যুতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ স্কুলের শিক্ষকরা সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে প্রবেশপত্রের নামে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ থেকে দেড়’শ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। উপজেলার বাকাল নিরঞ্জন বৈরাগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী স্মৃতি শিকারী, মমতা বিশ্বাস, নিলপেন হালদার অভিযোগ করেন, প্রবেশপত্রের কথা বলে শিক্ষকরা তাদের কাছ থেকে দেড়’শ টাকা করে নিয়েছেন। কাঠীরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী দেবাশীষ বালা, এস.এম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিমু আক্তার, পয়সারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিপ্রা আক্তার জানায়, তাদের কাছ থেকেও প্রবেশপত্রের নামে শিক্ষকরা দেড়’শ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন।

অভিভাবক মালা রানী দাস, সুনীল বালা, শুশান্ত হালদার, আনোয়ার হোসেনসহ একাধিক অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ভাবে কেন্দ্র খরচের জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ১’শ করে টাকা দেয়া হয়েছে। সেখানে সরকারের সকল নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে প্রবেশপত্রের নামে শিক্ষকরা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এক থেকে দেড়’শ টাকা করে হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ বে-আইনী।

দেড়’শ নয় এক’শ টাকা করে উত্তোলনের কথা স্বীকার করে কাঠীরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র কর ও এস.এম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নির্মলেন্দু বাড়ৈ বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আশ্রাফুজ্জামান সাগরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রবেশপত্রের নামে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি বে-আইনী। এ ব্যাপারে এখনও কেউ কোন অভিযোগ করেননি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।