বিএচপি’র শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল

প্রক্রিয়া অবশেষে বাতিল করা হয়েছে। ডিজি’র প্রতিনিধি জেলা সদর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক শংকর কুমার পাল সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যালয়ের এড্হক কমিটির এক শিক্ষক সদস্য ইতোপূর্বে অবসরে চলে যাওয়ায় এবং নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়ানোর কারণে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। আদালত ২১দিনের মধ্যে নিয়োগ কমিটির কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ জারি করেছে। আদালতের প্রতি সম্মাণ দেখিয়ে ২৫ অক্টোবরের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞার কাগজ তিনি হাতে পাননি। তিনি আরও জানান, স্থানীয় দু’টি কমিটির দ্বন্দ্বের কারণে আবেদনকারীরা চরম হয়রানির শিকার হয়েছে। যা একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের চাওয়া উচিৎ ছিলনা। অবশ্য নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় আদালতে আর নিয়োগ কমিটির জবাব দিতে হবেনা। উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের এড্হক ও নিয়োগ কমিটির ৫জনের বিরুদ্ধে আগৈলঝাড়া ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমী’র প্রধানশিক্ষক পদসহ ৪জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের নতুন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পরেশ রায় গত ২১ অক্টোবর বাদী হয়ে বরিশাল সহকারী জজ আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর আবেদন করেন। দেওয়ানী মামলা নং-৮৬/২০১০।

গতকাল সোমবার নিয়োগ পরীক্ষায় ডাকা হলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে এড্হক কমিটির মেয়াদের শেষদিনে ২৫ অক্টোবর শেষ সময় পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। ৪জন সহকারী শিক্ষক পদের বিপরীতে ১১৭জন আবেদনকারীরা গতকাল জেলা বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হলেও পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় তারা হয়রানির শিকার হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। পরীক্ষা দিতে আসা জনৈক প্রার্থী জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রী আবেদনকারীদের দূর-দূরান্ত থেকে এনে তাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। গত ১বছর পূর্বে নিয়োগবিজ্ঞপ্তি ডেকে বর্তমানে ড্রাফ্টের অর্থ আত্মসাৎ করার জন্যই পরীক্ষা বাতিল করেছে। পুনরায় পরীক্ষা হওয়া নিয়েও তারা সংশয় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।