গরুর মাংসে আতঙ্ক ॥ তাই মাছের বাজারে আগুন

গতকাল রবিবার গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের কেনাকাটায় সবাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঈদের নতুন জামা কাপড় কেনার জন্য পরিবারের সবাই ব্যস্ত রয়েছেন। এদিকে এ্যানথ্যাক্স আতংকে বাজারের গরুর মাংসের দোকানীরা এখন অলস সময় কাটাচ্ছেন। উপজেলার আশোকাঠী বাজারের গরুর মাংসের বিক্রেতা সালাম হোসেন জানান, এ্যানথ্যাক্স আতংকে এখন আর কেউ গরুর মাংস ক্রয় করেন না। যদিও তারা স্থানীয় পশু হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকদের দ্বারা পরীক্ষা নিরিক্ষা করে গরু জবাই করছেন।

তার পরেও এ্যানথ্যাক্স আতংকে কেউ গরুর মাংস ক্রয় করতে চায়না। এ সুযোগে স্থানীয় মুরগী ও মাছ ব্যবসায়ীরা দাম হাঁকিয়েছেন আকাশচুম্বি। গৌরনদী বন্দর বাজারে বাজার করতে আসা সুমন বেপারী বলেন, বাজারে এখন পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে এলেও পরিপূর্ণ ভাবে বাজার করা সম্ভব হয় না। এক জোরা ইলিশ কিনতে ১ থেকে ২ হাজার টাকা লাগে। অন্যান্য মাছের কেজিও ২ থেকে ৩’শ টাকার কম নয়।

এ সুযোগে বাড়ছে মুরগির চাহিদা। ফার্মের মুরগির দাম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় ওঠানামা করছে। দেশি মুরগির বাজারে আগুন। একটি ছোট সাইজের বাচ্চা মুরগির দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আর বড়গুলো ৪’শ টাকার নিচে নয়। আর ছাগলের মাংসকেই এখন খাসি বলে চালানো হচ্ছে-যার দাম প্রতিকেজি ৩৫০ থেকে ৪’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।