আগৈলঝাড়ায় ‘একটি বাড়ি একটি খামার কর্মসূচী’র তালিকা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ

যাচাই-বাছাই করেও সঠিক তালিকা তৈরী করতে পারেনি উপজেলার সংশিষ্ট দপ্তর। সংশিষ্ট  বিআরডিবি অফিস ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার, পলীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘একটি বাড়ি একটি খামার কর্মসূচী’ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে গৈলা ইউনিয়নকে বাদ রেখে ৪টি ইউনিয়ন থেকে ২০টি গ্রামকে বাছাই করে এই প্রকল্পের আওতায় নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে প্রাথমিকভাবে সুবিধাভোগীদের নামের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি প্রতিটি গ্রাম থেকে দরিদ্র ও অসহায় ১২০টি পরিবার যাচাই-বাঁছাই সাপেক্ষে তালিকাভুক্ত করে ২হাজার ৪শ’ পরিবারকে বাছাই করে উপজেলা কমিটির কাছে জমা দিয়েছে। ওই তালিকায় অনেক দরিদ্র পরিবারকে বাদ দিয়ে সচ্ছল পরিবারের নাম অন্তর্ভূক্ত করায় তালিকা নির্ধারিত নিয়মে চূড়ান্ত করে তৈরী করার কার্যক্রম ঝুলে রয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। সরকারের এ কার্যক্রম চলতিবছরের জানুয়ারী থেকে শুরু করা হয়েছে। গত ৩০ জুনের মধ্যে ‘একটি বাড়ী একটি খামার কর্মসূচীতে আগৈলঝাড়ার ২০টি গ্রামের ১হাজার ২শ’ দরিদ্র পরিবারের নামের তালিকা এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত তালিকা তৈরী  করে পাঠাতে পারেননি। এনিয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় একাধিকবার আলাপ আলোচনা করেও তালিকা চূড়ান্ত করতে পারেনি। এব্যাপারে এ প্রকল্পের সদস্য সচিব ও বিআরডিবি কর্মকর্তা মিসেস সুপ্রিয়া বর জানান, তালিকা পাঠানোর শেষ সময় ৩০ জুন হলেও অজ্ঞাতকারণে তালিকা চূড়ান্ত করে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারিনি। প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান জানান, ‘একটি বাড়ী একটি খামার কর্মসূচী’ সরকারের দারিদ্রতা বিমোচনের জন্য একটি সুন্দর পদক্ষেপ। প্রাথমিক তালিকা তৈরী করে সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। যাচাই-বাছাইয়ে কোন অনিয়ম হয়নি বলে তিনি জানান।