গৌরনদীর আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য কামাল ফকিরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কর্মীদের নামে ভূরঘাটা হাট ইজারা নিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত, ভূরঘাটা বাজারের সরকারি টলঘর ভেঙ্গে বসত ঘর নির্মান, ভুরঘাটা পানের হাটের ৬০ হাজার টাকা মূল্যের বিশাল একটি রেনট্রি গাছ আত্মসাত, ভুরঘাটা হাটের আওয়ামীলীগের পুরাতন কার্যালয় ভেঙ্গে সম্পূর্ণ আত্মসাত, দলের প্রভাব দেখিয়ে ভূরঘাটা এলাকার সরকারি সম্পত্তিতে রাইস মিল তৈরি, ভূরঘাটা তহসিল অফিসের রুম নিজের কাজে ব্যবহার করা, তহশিল অফিসারকে লাঞ্চিতসহ খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ভূরঘাটা গ্রামের খালের পাশ দিয়ে নির্মানাধীন ভেড়ি বাঁধের সম্পত্তির চাষীদের জন্য বরাদ্দকৃত মোটা অংকের টাকা আত্মসাত, কারনে অকারনে গ্রামের লোকজনদের হয়রানি ও শারিরিক লাঞ্চিত করে আসছে।

অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, ইউপি সদস্য কামাল হোসেন ফকির নিজেই এলাকার কতিপয় বখাটে লোকদের দিয়ে এলাকায় নানা অপকর্ম করে আসছে। তাদের ভয়ে এলাকার কোন লোক মুখ খুলতে সাহস পায়না। তার এ অপকর্মের সহযোগীতা করছেন ফিরোজ কাজী, মাসুদ ফকির, বাবু ফকির, সাহু ফকির, জাকির ফকির, এমদাদুল ফকির, সাইদুল মোল্লা, মোহাম্মদ ফকির, রানা কাজীসহ অজ্ঞাতনামা যুবকরা। কামাল হোসেন ফকির ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ খলিল হোসেন, ফারুক বেপারী, কবির হোসেন ও তোরাব আলী গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে ইউপি সদস্য কামাল হোসেন ফকিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ভাবে যে ব্যবস্থা নেয়া হবে তাহা আমি মাথা পেতে নেব।   
অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, ইউপি সদস্য কামাল হোসেন ফকিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত করা হবে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।