শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যকে লাঞ্চিত | গৌরনদীতে পরীক্ষা চলাকালীন সময় যুবলীগ ক্যাডার কর্তৃক স্কুলে হামলা

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম বেপারী জানান, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুলের আসবাবপত্র মেরামতের জন্য গত শুক্রবার স্কুলের একটি রেনট্রি গাছ কর্তন করা হয়। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে দুটি মোটরসাইকেলযোগে যুবলীগ নেতা সোহাগ মোল্লা তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেন, মোফাজ্জেল মোল্লাসহ ৬ জনে স্কুল প্রবেশ করে। সোহাগ প্রভাবখাটিয়ে কর্তনকৃত গাছের মালিকানা দাবি করে অর্তকিত ভাবে স্কুলের দরজা জানালা পেটাতে শুরু করে। একপর্যায়ে তার (প্রধান শিক্ষকের) কক্ষে প্রবেশ করে তারা চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করে। সোহাগ মোল্লা ও তার সহযোগীদের বেপরোয়া তান্ডবে স্কুলের পরীক্ষারত শিক্ষার্থীরা উত্তরপত্র ফেলে দ্বিগবিদিক ছোঁটাছুটি শুরু করে।

খবর পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম শাহীন ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের বাঁধা দিতে যায়। এসময় হামলাকারীরা স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শাহীনকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। খবরপেয়ে গৌরনদী থানার এএসআই মনির হোসেন একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারীরা গাঁ ঢাকা দেয়। পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে সময় বাড়িয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহন করা হয়।

হামলার কথা অস্বীকার করে সোহাগ মোল্লা বলেন, কর্তনকৃত গাছ আমার পৈত্রিক সম্পত্তির। গাছের মালিকানা দাবি করায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আমিনুল হক শাহীনের সাথে আমার বাকবিতন্ডা হয়েছে।