“সতর্কতা নিরাপত্তার জননী”

সুপ্রিয়, পাঠক কে আরেক বার স্মরন করিয়ে দিতে চাই, আমাদের দেশের পরকীয়া প্রেমের অমর কাহিনী। মুনির-খুকু, এবং আমাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ-জিনাত, মেরী, বিদিশা। এছাড়া হাজারো-লাখো পরকীয়া প্রেমের কাহিনী বাংলাদেশের আনাছে-কানাছে ঘটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অবশ্য এ পরকীয়াতে উদাহরন স্বরুপ শুধু বাংলাদেশকে সামনে আনলে ভূল হবে। কারণ, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট মি. বিল ক্লিনটন এবং মনিকা লিউনাস্কির সাথে পরকীয়ার ঘটনা কে না জানে। যে কাহিনী সারা বিশ্বময় মানুষের দৃষ্টি এড়াতে পারেনি এবং সহজে মানুষ এ কাহিনী ভূলতেও পারবেনা, এটা অনুমান করে বলা যায়। এভাবে সারা বিশ্বময় পরকীয়া প্রেমের জয়-জয়কার। বর্তমানে, সাধারণ প্রেমের চাইতে পরকীয়া প্রেমের ঘটনা গুলো বেশি আলোচিত। সময়ের আবর্তনে আজ এ ধারা সৃষ্টি হয়েছে।

কথিত আছে, প্রেম অন্ধ। কিন্তু পরকীয়া প্রেম তার চাইতেও বেশি কিছু। পরকীয়া মানেনা স্বামী-সন্তান, সংসার, জগৎ, ধর্ম। সাধারণ প্রেমের চাইতে পরকীয়া প্রেম প্রবল শক্তিধর। এ পরকীয়ার প্রবল টানে বিশিষ্ট শিল্পপতি, মুনির তার সুন্দরী স্ত্রীকে ভূলে জড়িয়ে পড়েন মধ্য বয়সী এক রমনী, খুকু’র প্রেমে। যার ফলশ্রুতিতে ঘটে লোম হর্ষক এক হত্যাকান্ড। মুনির নিজ হাতে হত্যা করে তার সুন্দরী স্ত্রী শারমিন কে। যা নিয়ে তখন বাংলাদেশের মিডিয়া গুলো অনেক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিল। এই মিডিয়ার কারণেই মুনিরের মত প্রভাবশালী শিল্পপতির ফাঁসি হয়েছিল।

পরকীয়া প্রেমের আরেক মহানায়ক বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। যার পরকীয়া প্রেমের কথা ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে। জনাব, এরশাদ সাহেব পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন বেগম রওশন কে। যিনি পরে রওশন এরশাদ নামে পরিচিতি লাভ করেন। এরশাদ যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন থেকেই তার এ পরকীয়া মিশন চালু থাকে। এ মিশন প্রথম জিনাত মোশারফ কে দিয়ে শুরু করে একে-একে মেরী, এবং সর্বশেষ অনেক বড় নাটকীয়তায় তা শেষ হয় বিদিশাকে দিয়ে। আমাদের এই সাবেক সেনা প্রধান এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট, পরকীয়ার ক্ষেত্রে যে নজীর রেখেছেন পরকীয়া প্রেমিকদের ক্ষেত্রে তা পাথেয় হয়ে থাকবে।

পরকীয়ার আরেকটি সাক্ষুস ঘটনা- কোন এক গ্রামের জনৈক, মনসুর আলী (২৯) বিয়ে করেন ষোড়ষী সুন্দরী এক তরুনীকে। মনসুর বিয়ে করেছিলেন পারিবারিক ভাবে। জনাব, মনসুর যে মেয়েটিকে বিয়ে করেছিলেন মেয়েটির নাম নাজমা। নাজমা দেখতে খুবই সুদর্শনা। কিন্তু, বর হিসেবে মনসুরকে নাজমার পছন্দ হয়নি। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই নাজমা স্বামীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। যত দিন গড়াতে লাগল নাজমা তত স্বামী থেকে দুরে সরে যেতে লাগল। স্বামীর সংসারে নাজমা সব সময় মন মরা হয়ে থাকত। তাদের দাম্পত্য জীবনে সহবাসের সময় নাজমার স্বামী সব সময় অতৃপ্ত থেকে যেত। এর কারণ, সহবাসে নাজমার অনীহা। মনসুর নিজ বিবাহিত স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে হত জোর পূর্বক। এভাবে প্রায় ছয় মাস অতিবাহীত হয়ে যায়। এরি মধ্যে নাজমার চোখ পড়ে মনসুরের বড় ভাইয়ের ছেলে আরমানের প্রতি। আরমান কলেজ পড়ুয়া ছেলে। দেখতে শুনতে সুদর্শন এবং স্মার্ট। যৌথ পরিবাররের কারনে আরমানের সাথে নাজমার দেখা সাক্ষাৎ কথা-বার্তা হত সব সময়। নাজমার এবং আরমানের মধ্যে যে কথা বার্তা হত প্রথম দিকে তা ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু, ধীরে-ধীরে নাজমা আরমানের প্রতি অতি উৎসাহী হয়ে উঠে। মাঝে মধ্যে নাজমা আরমানের সাথে এমন সব মশকরা করত, যা সাধারণত: ভাবীরা দেবরের সাথে করতে পারে বা করে। নাজমার এ অবˉÿায় আরমান নিজেও নাজমার দিকে ঝুকতে লাগল। এভাবে নাজমার এবং আরমানের মধ্যে গড়ে উঠে এক মধুর যোগ সুত্র। সময় সুযোগ করে নামজা আরমান কে তার ভালোলাগার কথা বলে। কিন্তু, আরমান তার কথায় সায় দিতে রাজি ছিলনা। যদিও আরমান নাজমাকে মনে-মনে পছন্দ করত, কিন্তু আপন চাচীকে নিয়ে তার কোন দুরদর্শি চিন্তা-ভাবনা ছিলনা। এদিকে নাজমার অˉিÿরতার শেষ নেই আরমান কে নিয়ে। আগুনের কাছে মোম রাখলে মোমের পরিণতি কি হবে তা সবার জানা আছে। আর এমনি ভাবে আরমানও একদিন চাচীর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। নাজমা, আরমান কে দৈহিক মেলামেশার আহ্বান জানায়। প্রথম দিকে আরমান তা প্রত্যাক্ষান করলেও পরে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি। চলতে থাকে নাজমা আর আরমানের গোপন অভিসার। নাজমা, আরমানকে নিয়ে তৃপ্ত। আর তৃপ্ত না হওয়ারও কোন কারণ নেই, আরমানের যৌবন যখন উত্তাল সমুদ্রের মত গর্জন করে ঠিক সেই সময়ে নাজমা আরমানকে পেয়েছে তার একান্ত সান্নিধ্যে। সময় সুযোগ পেলেই দু’জন হারিয়ে যেত দু’জনের মধ্যে। এখন আর নাজমাকে মন মরা হয়ে থাকতে দেখা যায় না।

কিন্তু, এতকিছুর পরেও নাজমা অতৃপ্ত থাকে। কারণ, এভাবে লুকোচুরি করে কাছে পেতে চায়না সে আরমানকে। নাজমা চায় আরমান হোক শুধু তার, যেখানে নাজমা আরমানকে নিয়ে নির্বিঘেí মেতে উঠতে পারবে তার আদিম নেশায়। বেপরোয়া হয়ে উঠতে থাকে নাজমা। এদিকে নাজমার এহেন অবˉÿায় ভয়ে তটˉÿ থাকত আরমান। তার ভয় ছিল, নাজমা যদি পরিবাররের কারো সামনে এমন কোন কিছু করে বসে, তাহলে পুরো পরিবারের মান-সম্মান ধুলোয় মিশে যাবে।

কিন্তু না, নাজমা তা না করে আরমানকে নিয়ে পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে যদিও আরমান আপত্তি জানিয়েছিল, কিন্তু পরক্ষনে রাজি হয়ে যায়। দিন ক্ষন ঠিক করে একদিন কাক ডাকা ভোরে তারা তাদের অজানা গন্তেব্যের দিকে পাড়ি জমালো।

এভাবেই পরকীয়ার টানে আরমান অপরিণত বয়সে তার শিক্ষা জীবনের যবনিকা টানে এবং এক অচেনা পথের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। আর নাজমা তার ছয় মাসের সংসার জীবন, স্বামী, পরিবার, পরিজন ত্যাগ করে, আপন ভাসুরের ছেলের হাত ধরে খুঁজে নিল তার স্বপ্নের ঠিকানা। এই প্রেম কখনো জানতে চেষ্টা করেনি সমাজের কথা! এই প্রেম কখনো চিন্তা করেনি সংসারের কথা! এই প্রেম কখনো ভেবে দেখেনি মনসুরের কথা! এটাই কি পরকীয়া? এই কি সেই কথিত প্রেমের রাজা?

মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী জনৈক রফিক একজন স্বাˉÿ কর্মী। দীর্ঘদিন যাবত চাকুরী করছেন একটি নামকরা হাসপাতালে। প্রয়োজনের তাগিদে ছুটে যান স্ব-দেশে। রফিক সাহেব ছুটিতে যাওয়ার সময় উনার নিজ এলাকার এক পরিচিত জনের কিছু মালা-মাল নিয়ে যান। দেশে যাওয়ার পর রফিক সাহেব নিজ বাড়ীতে না থেকে, উঠেন ˉÿানীয় একটি আবাসিক হোটেলে। রফিক সাহেবের হোটেলে থাকার কারণ, জেলা শহরে তার কিছু কাজ অসামাপ্ত ছিল, আর প্রতিদিন আসা-যাওয়ার ঝামেলা এড়াতেই তিনি আবাসিক হোটেলে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

জনাব, রফিক উনার যে পরিচিত জনের জিনিস পত্র নিয়ে গিয়েছিলেন, তাদের বাড়িতে ফোন করে তার শহরের ঠিকানাটা দেন। যে হোটেলে রফিক সাহেব আছেন। এর দু’দিন পরেই সকাল বেলায় সু-নয়না, সু-দর্শনা এক মহিলা গিয়ে হাজির রফিক সাহেবের হোটেল কক্ষে। দরজায় কড়া নাড়তেই রফিক সাহেব দরজা খুলে চমকে উঠলেন! এত সকালে এমন কোন সুন্দরীর মুখ দেখতে পাবেন তা তিনি গুনাক্ষরেও কল্পনা করেন নি। মধ্যবয়সী রফিক সাহেব পরিচয় জানতে চাইলে এই তন্বি মহিলা ভদ্রতার সহিত পরিচয় দিলে রফিক সাহেব ভিতরে আসতে বলেন। ভিতরে গিয়ে কিছুক্ষন বসে সুন্দরী মহিলা প্রবাসে তার স্বামীর অবˉÿান, দীর্ঘদিন তাকে ছেড়ে প্রবাসে পড়ে থাকার কারণ, ইত্যাদি জানতে চান রফিক সাহেবের কাছ থেকে। রফিক সাহেবও যতটুকু জানেন তার সবটুকু উজাড় করে বলেছেন এই সুন্দরী মহিলার কাছে। পরে রফিক সাহেব জিনিস গুলো বের করে বুঝিয়ে দেন যে, এগুলো আপনার স্বামী আপনাকে দিতে বলেছে। সুন্দরী মহিলা জিনিস গুলো হাতে পেয়ে হা-হুতাশ করে বলে, উনাকে না পেয়ে জিনিস দিয়ে কি করব? এ কথা বলেই মহিলা চলে গেলেন।

কিন্তু, পরের দিন ঠিক একই সময়ে আবার এই সুন্দরী মহিলা রফিক সাহেবের হোটেল কক্ষের সামনে এসে হাজির। রফিক সাহেব, কিছু জিজ্ঞেস করবে সে সুযোগ না দিয়েই ঢুকে গেলেন হোটেল কক্ষের ভিতরে। এই ঘটনায় হতভম্ভ রফিক সাহেব অনেক চেষ্টা করেও মহিলার কাছ থেকে অনেক্ষন কিছু জানতে পারেন নি। এক পর্যায়ে এই সুন্দরী মহিলা ক্রন্দনরত অবˉÿায় তার মনের আকুতির কথা রফিক সাহেব কে জানান। কিংকর্তব্যবিমুঢ় রফিক সাহেব। কি করবেন তিনি? কিন্তু, এই সুন্দরীর রূপ-যৌবন ও কম তাড়া করছেনা মধ্য বয়সী এই ভদ্র লোককে। এক ঝটকায় বসা থেকে উঠে রফিক সাহেব কে জড়িয়ে সুন্দরী মহিলা হাতে পায়ে ধরে তার কাছে একটু দৈহিক সুখ ভিক্ষা চায়। এই মহিলা একে-একে সব বস্ত্র হরন করে স্ব-হস্তে, স্ব-শরীর থেকে। সটান হয়ে থাকা উন্নত বক্ষ, গোলাপী গাল, কমলার কোয়ার মত লাল ঠোট, কামুক নিতম্ব সব কিছু সমর্পন করলেন রফিক সাহেবের কাছে! কিন্তু, বয়সের সাথে-সাথে অভিজ্ঞ মধ্য বয়সী এই ভদ্র লোক তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শান্ত করেন সুন্দরী মহিলাকে। রফিক সাহেব এই আশ্বাসের ভিত্তিতে মহিলাকে শান্ত করেন যে, আগে দু’জনে তাদের রক্ত পরীক্ষার পর যদি কোন বিপদ জনক কিছু না পাওয়া যায় তাহলে সুন্দরী মহিলাকে দৈহিক সুখ দিবেন বলে কথা দেন! সুন্দরী মহিলা মেনে নিলেন। যেই কথা সেই কাজ। দু’ জনেই ঢাকার ল্যাব এইডে গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় টেষ্ট গুলো করে নিলেন। একই দিন টেষ্ট রিপোর্ট হাতে পেয়ে রফিক সাহেব আল্লাহকে স্মরন করতে লাগলেন বার-বার। কারণ, সুন্দরী মহিলার রিপোর্টে ভয়ানক মরণ ব্যাধি এইচ, আই, ভি’র সহযোগী ভাইরাস হেপাটাইটিস ভি ভাইরালের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে! এ রিপোর্ট দেখার পর রফিক সাহেব কে যত বিমর্ষ দেখা গেছে তার সিকি পরিমানও সুন্দরী মহিলার মধ্যে ছিলনা। এমন ভাব যেন কিছুই হয়নি। কারণ, দীর্ঘদিন স্বামী সোহাগ থেকে বঞ্চিত, উত্তাল যৌবনের প্রশান্তির জন্য বহুগামী এই সুন্দরী মহিলা যেন জানতেন তার এরকম কিছু হতে পারে…

নোট: আমার এ লেখার মূল লক্ষ্য- এইচ, আই, ভি, এইডসের মত মরণ ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা। শুধু যে ঐ মহিলা বহুগামী তা নয়। অনেক পুরুষও বগুগামীতার কারণে এ ধরনের মারাত্মক ভাইরাস তার শরীরে বহন করছে। তাই সবাইকে সচেতন থাকা জরুরী বা থাকতে হবে। অপরিচিত নারী কিংবা অপরিচিত পুরুষের সাথে দৈহিক মেলামেশার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া অতীব জরুরী। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশীরা এ ব্যপারে অধিক উৎসাহী হওয়া দরকার। কারণ, পরকীয়া এবং বহুগামীতার পরিসংখ্যানে প্রবাসীদের স্ত্রীরাই এগিয়ে। যদি সাবধান না হোন তাহলে, এক থেকে একশ, একশ থেকে হাজারে, এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকবে এই ভয়ানক মরণ ব্যাধি। আপনি সাবধান হোন, আপনি বাঁচুন। অন্যকে সাবধান করুন, অন্যকে বাঁচতে সহায়তা করুন।

[Source: Khabor.com- সাইফ মুন্না – রিয়াদ থেকে ]