পাঠ দান ব্যহত – মেহেন্দিগঞ্জের চানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জর্রিত

মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মেহেন্দিগঞ্জের চানপুর সরকারী প্রাথমিক  বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকায় পাঠ দানে ব্যহত হচ্ছে।
সূত্র জানায় ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি নদী করালগ্রাস পরিনত হয়। জানা যায় বিদ্যালয়ের ফান্ডের দৈন্যদশা থাকায় বিদ্যালয়টি স্থান্তর করতে বিলম্ব হয় এক পর্যায় ঐ ইউনিয়নের সমাজ সেবক মোঃ নজরুল ইসলাম স্বেচ্ছায় বিদ্যালয়ের নামে ৫০ শতাং জমি দান করলে সেখানে বিদ্যালয়টি স্থান্তর করা হয়।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের দৈন্যদশা প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্র ছাত্রীর জন্য ২ টি শ্রেনী কক্ষ, নেই প্রয়োজনীয় টেবিল, চেয়ার, ব্যঞ্চ, এমন কি বিদ্যালয়ের টিন সেট বেড়াটির মধ্যে দিয়ে গরু, ছাগল ঢুকে, দরজা, জানালা ভাঙ্গা। একটি ব্যঞ্চে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্র ছাত্রীদের বসতে হয়, হাত ঘুরাতে পারছেনা। এর ফলে ব্যহত হচ্ছে পাঠ দান। ছোট একটি খেলার মাঠ থাকলে ও তা আবার খেলা ধুলার অনুপযুক্ত। স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি কর্তৃক অভিযোগ রয়েছে  বিদ্যালয়ের দৈন্যদশার মাঝে ও প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম আর দুর্নীতি, একই পরিবারের একাধিক শিক্ষক, শিক্ষকরা নিয়মিত উপস্থিত না থাকা।

সূত্র জানায় বিদ্যালয়টি ২০১০ সালের আগষ্টে স্থানান্তর করার পর সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন ব্যাক্তির দানের টাকা প্রধান শিক্ষক মোঃ ছালাউদ্দীন আত্মসাত করেন। অভিযোগ ওঠেছে প্রধান শিক্ষক আত্মসাত করেছেন শিক্ষা অফিসের ক্ষুদ্র মেরামতের ৪০ হাজার টাকা, বিদ্যালয়ের পুকুরের মাছ বিক্রি টাকা, সাংসদ এর কোটায় বরাদ্ধ পাওয়া ১ টন টিয়ার, ২০১১ সালে ক্রিড়া অনুষ্ঠানের ১৮ হাজার টাকা, ছাত্র ছাত্রীদের অনুপস্থিত থাকার অযুহাতে উপবৃত্তির টাকা।

অনিয়মের মধ্যে রয়েছে বিগত ২ বছর পূর্বে অভিবাবক সদস্য নির্বাচন হলে ও আজ পর্যন্ত সেই কমিটিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া আর এক শিক্ষিকা দীর্ঘদিন পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকায় পার্সেন্টিজ এর মাধ্যমে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করা। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে আলাপ কালে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বিকার করেন। তবে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের জন্য স্থানীয় সমাজ সেবক আলমগীর চৌকিদারের দান করা ১ লক্ষ টাকা আমির হোসেন আকন আত্মসাত করেন।