কালো টাকা সাদা এবং ১০% শুভংকরের ফাকি…

WatchDog: দেশীয় রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে চুরি এবং এই চুরিকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে ক্ষমতাসীন এবং ক্ষমতাহীন রাজনীতি। আমি মনে করি শুধু কালো টাকা সাদা নয় বরং চুরিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে এ পথে আয়কৃত অর্থকে দেশীয় অর্থনীতিতে স্থায়ীভাবে স্বাগত জানালে এক ঢিলে অনেক পাখী মারা সম্ভব হবে। প্রথমত, রাজনীতিবিদগন চুরি চামারি শেষে দিনান্তে বাড়ি ফিরে শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন, ১/১১'র দুঃস্বপ্ন তাদের তাড়িয়ে বেড়াবে না। দ্বিতীয়ত, আমাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ভূত হয়ে বিদেশে পাড়ি জমাবে না। তৃতীয়ত, আমাদের মাথাপিছু বার্ষিক আয় উত্তরমুখী যাত্রা শুরু করবে। এ ধরনের অর্থ বাজারে বিনিয়োগ হলে সমাজে চরম বৈষম্য এবং নৈরাজ্যের পাশাপাশি আইন শৃংখলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হবে এবং তা দেখভাল করার জন্যে পুলিশ সহ অনেক দপ্তরে ব্যপক চাকরীর সম্ভাবনা তৈরী হবে। পুলিশ মানেই লারে লাপ্পা মার্কা চুরি, আর চুরি মানেই নতুন নতুন চাকরী…দেশে জ্যামিতিক হারে কমতে থাকবে বেকারত্ব।

থাইল্যান্ডের কথা মনে আছে আপনাদের? চরম দারিদ্রসীমার নীচে বাস করে সে দেশের জনগন হাবুডুবু খাচ্ছিল বাঁচামরার লড়াইয়ে। দেশটির রাজা চমৎকার এক উদ্বার পরিকল্পনা নিয়ে জাতির সামনে হাজির হন। রাজা দেশের মহিলাদের সামনে হাতজোড় করে বিনীত অনুরোধ করেন বেশ্যাবৃত্তিতে নাম লেখাবার জন্যে। রাজার আদেশ শিরোধার্য, শুরু হয় রাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় পতিতাবৃত্তি। বিদেশ হতে পতিতাখেকোর দল মিছিল করে আসতে শুরু করে ব্যাংককে। সাথে আসতে থাকে বৈদেশিক মুদ্রা। এভাবেই শুরু হয় নতুন থাইল্যান্ডের যাত্রা। একটা পর্যায়ে রাজা নতুন আবেদন নিয়ে হাজির হন দেশবাসীর সামনে, অনেক হয়েছে বেশ্যাবৃত্তি, এবার অর্থনীতির ভীত গড়ার পালা। ভাল-মন্দের বর্তমান থাইল্যান্ডের চিত্র আমাদের চোখের সামনে।

থাইল্যান্ডের বেশ্যাবৃত্তিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক চুরি দিয়ে প্রতিস্থাপন করলে কে জানে আমাদের ভগ্যাচাকাও হয়ত পৌছে যাবে অভীষ্ট লক্ষ্যে। এমন একটা 'মহাপরিকল্পনা' কি হাতে নেয়া যায়না?