বরিশাল যুব দলের কমিটি নিয়ে ধাঁধাচক্করে বিএনপি

শাহীন হাসান, বরিশাল ॥ বরিশাল বিএনপিতে সবাই নেতা হতে চায়। নেতা হবার স্বীকৃতি পেতে বিভিন্ন ছল-চাতুরি ও কৌশল গ্রহণ করায় রীতিমত মিডিয়া কর্মীরাও বিএনপিকে নিয়ে বিপাকে। যার শুরু হয় বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর থেকে। তবে এক্ষেত্রে দায়ী বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির চেইন অব কমান্ড। তাদের রাজনৈতিক গ্র“পিং এর সুযোগ নিয়েই এমনটাই হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে গ্র“পিং এর লেস ছড়িয়ে পড়েছে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়। এক পক্ষ কমিটি গঠন করার ২ দিন পরই বিপরীত পক্ষ কমিটি অবৈধ বলে আখ্যা দিয়ে নতুন কমিটির প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে। বিএনপির এই কমিটি চক্করে রীতিমত মিডিয়া কর্মীরা অস্থির হয়ে উঠেছে। তবে অদ্যাবধি দুই গ্র“প সম্মিলিতভাবে কোন কমিটি গঠন করতে পারেনি। গত ৪ নভেম্বর গঠিত বাকেরগঞ্জ উপজেলা ও পৌ যুব দলের আহবায়ক কমিটিকে পকেট কমিাট আখ্যা দিয়ে পাল্টা কমিটি গঠনে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করায় মিডিয়া কর্মীদের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে। পরপরই যোগাযোগ করা হয় বরিশাল জেলা যুবদলের সভাপতি খাজা মো. ইকবালের সাথে। তিনি নাসির উদ্দিন হাওলাদারকে বর্তমান বাকেরগঞ্জ যুবদলের কেউ নন বলে মন্তব্য করে জানান, ৫১ ও ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনেক পূর্বেই ঘোষণা করা হয়েছে। বার বার কোন কমিটি ঘোষণা করা হয় না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি গঠন করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপি কোন বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিতে পারে, কিন্তু কমিটি চূড়ান্ত হয় জেলা যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদকের স্বাক্ষর অনুযায়ী। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৫ সালের জুলাই মাসের ২ তারিখ বাকেরগঞ্জ উপজেলা সম্মেলন ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সভাপতি বরকত উল্লাহ ভুলু, সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন ও সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান। যে কমিটির মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু বরিশাল জেলা যুবদলের সভাপতি খাজা মো. ইকবাল গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে ২টি পকেট কমিটি গঠন করে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় বাকেরগঞ্জে এই কমিটিকে ঘিরে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। দরুণতায় চলতি মাসের ১০ তারিখ ভোটের মাধ্যমে যুবদলের সভাপতি খাজা মো. ইকবালের কমিটির বিপরীতে ৭১ ও ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি কমিটি গঠন করে জেলা যুবদল বরাবর প্রেরণ করা হয়। যাতে সুপারিশ করেন, সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান। এতে বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক করা হয় নাসির উদ্দিন হাওলাদারকে। সদস্য সচিব করা হয় এনায়েত হোসেন বিপুকে। বাকেরগঞ্জ পৌর যুবদলের আহবায়ক করা হয় আলীম জমাদ্দার ও সদস্য সচিব করা হয় নাসির উদ্দিন হাওলাদারকে। সম্মেলনের মাধ্যমে বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি ও পৌর যুবদলের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে।