সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার্থীনিকে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এসএসসির পরীক্ষার্থীনিকে ধর্ষনের অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী থানায় ফয়সাল আহম্মেদ রাসেল (২২) নামের এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের চারদিন পরেও পুলিশ ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি।

ধর্ষিতা ও মামলার এজাহারে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ পিঙ্গলাকাঠী গ্রামের আশরাফ হাওলাদারের পুত্র ফয়সাল আহম্মেদ রাসেল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতিবেশী ও নলচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীনির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ছুটিতে বাড়িতে আসার পর (গত ১৪ নবেম্বর রাতে) সেনা সদস্য রাসেল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীর সাথে দৈহিক মেলামেশায় লিপ্ত হয়। ১৯ নবেম্বর সে কর্মস্থল কুমিল্লা সেনানিবাসে চলে যায়। ঘটনার দু’দিন পর (গত ২১ নবেম্বর) ওই স্কুল ছাত্রী স্ত্রীর দাবিতে সকাল থেকে সেনা সদস্যের বাড়িতে অনশন শুরু করে। ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহন মন্ডল বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে কিশোরীকে তার পৈত্রিক বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। উপায়অন্তুর না পেয়ে ২২ নবেম্বর কিশোরী নিজেই বাদি হয়ে গৌরনদী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলা গ্রহনের পর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে ওইদিনই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করে। সেনা সদস্যর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি রহস্যজনক। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মিজানুর রহমান মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত ছাড়া এ মুহুর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না। বাদি তার দেয়া এজাহারে ২টি মোবাইল নাম্বারের কথা উল্লেখ করেছে, যে নাম্বার দিয়ে সেনা সদস্য রাসেল বিভিন্ন সময় তাকে প্রেম নিবেদন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো। ফোন কললিষ্টের মাধ্যমে ওই নাম্বার দুটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে ধর্ষিতার দেয়া সেনা সদস্যর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।