গৌরনদীতে স্কুল শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের পিঙ্গলাকাঠী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ছাত্রদল নেতাকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুপিয়ে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির উদ্যোগে ওইদিন বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হলে পুলিশ ধাওয়া করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়।

গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম জানান, ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক ফরিদ জমাদ্দার (২৮)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্কুলে যাওয়া সময় শিক্ষক ফরিদ স্কুলের পাশ্ববর্তী নির্জনস্থানে পৌঁছলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে পাশ্ববর্তী ডোবায় ফেলে রাখে। স্থানীয়রা মুর্মুর্ষ অবস্থায় শিক্ষক ফরিদকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে সে মারা যায়। নিহত স্কুল শিক্ষকের বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ চাঁদশী গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত মোকসেদ আলী জমাদ্দারের পুত্র। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই স্কুল শিক্ষক শাহ জালাল জমাদ্দার বাদি অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ওইদিন দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। একইদিন বিকেলে উপজেলা বিএনপির ও তার সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হলে পুলিশ ধাওয়া করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউজ্জামান মিন্টু জানান, নিহত স্কুল শিক্ষক ফরিদ জমাদ্দার সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান চাঁদশী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক। তিনি আরো জানান, বর্তমান ক্ষমতাসিন দলের ক্যাডাররা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শিক্ষক ফরিদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ফরিদের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হলে পুলিশ মিছিলটি ধাওয়া করে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। লাঠিচার্জে কমপক্ষে ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, প্রকৃত খুনীদের আড়াল করার জন্য বিএনপির নেতৃবৃন্দরা নিহত স্কুল শিক্ষককে দলীয় নেতা দাবি করে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত করার অপচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। একজন সরকারি চাকুরীজিবি দলের কোন পদে থাকতে পারেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।