গৌরনদীতে ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের

থেকে সোমবার গভীর রাতে ছাত্রলীগ নেতারা ধাওয়া করে যুবলীগ নেতাদের ৩৪ বোতল ফেনসিডিল আটক করেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

পৌর ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মাহবুল খান জানান, দীর্ঘদিন থেকে পৌর যুবলীগ নেতা ও পৌর নির্বাচনে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ তুহিন সরদার এবং যুবলীগ নেতা কাওসার হোসেন খান দক্ষিণ পালরদী মহল্লায় মাদকের রমরমা বানিজ্য করে আসছে। তারা দু’জনেই গৌরনদী উপজেলার প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতার ঘনিষ্ঠ সহচর হওয়ায় এলাকার কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। তারা দু’জনেই গৌরনদীতে একক কাওসার-তুহিন নামে পরিচিত। সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এলাকাবাসির সহায়তায় পৌর সদরের সরকারি গৌরনদী কলেজের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ছাত্রাবাসসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় ওৎপেতে থাকে। একপর্যায়ে ফেনসিডিলের চালান নিয়ে ওইদিন রাত দেড়টার দিকে যুবলীগ নেতা কাওসার-তুহিন ও তাদের সহযোগীরা ছাত্রাবাস এলাকা অতিক্রমকালে ওৎপেতে থাকা ছাত্রলীগ নেতারা তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে কাওসার-তুহিনসহ অন্যান্যরা আংশিক ফেনসিডিল ফেলে রেখে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ছাত্রলীগ নেতারা স্থানীয়দের সহায়তায় ৩৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। পরবর্তীতে উদ্ধার করা ফেনসিডিল গৌরনদী থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।

ছাত্রলীগ নেতাদের এ মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতাদের ন্যায় স্ব-স্ব এলাকার সচেতন জনগন এগিয়ে আসলেই সমাজ থেকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে থানার এস.আই আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে যুবলীগ নেতা কাওসার হোসেন খান ও তুহিন সরদারকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন।