গৌরনদীতে পুলিশ পাহারায় কুমারী মাতাকে হাসপাতালে ভর্তি

রোজিনার চাচি জাহানারা বেগম জানান, গত ১৭ এপ্রিল রোজিনাকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সোহরাবের বোনজামাতা সিরাজ মাতুব্বরের গোপালপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রোজিনাকে জোড়পূর্বক গর্ভপাতের ঔষধ খাইয়ে দেয়া হয়। এতে রোজিনা রক্ত শূণ্যতাসহ অসুস্থ হয়ে পরে। তিনি আরো জানান, লম্পট সোহরাবের নিকট আত্মীয়রা গতকাল শনিবার ভোররাতে মুমুর্ষ অবস্থায় ভ্যানযোগে রোজিনাকে তার পিত্রালয়ের সম্মুখে ফেলে রেখে যায়। রোজিনার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে সোহরাবের ভাই ফরহাদ ও মামা আজাহার হাওলাদার তাদের লোকজন নিয়ে হাসপাতালে যেতে বাঁধা দেয়। এলাকাবাসি বিষয়টি গৌরনদী থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (অতিরিক্ত দায়িত্বে) এস.আই মিজানুল ইসলাম একদল পুলিশ নিয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় কুমারী মাতা রোজিনাকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাসপাতালের কত্যর্বরত চিকিৎসক ডাঃ শ্যামল বড়াল জানান, সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা রোজিনার গর্ভপাতের জন্য মাত্রাতিরিক্ত ঔষধ সেবন করানোর ফলে রক্ত শূণ্যতাসহ সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।

কুমারী মাতা রোজিনার চাচা নুরুল ইসলাম ঢালী জানান, মামলা না দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে প্রভাবশালী মহল তাদের বিভিন্ন রকম ভয়ভিতীসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শন করছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।