আগৈলঝাড়ায় যৌতুকের বলি দু’সন্তানের জননী শিপ্রা রায়

নির্যাতনের পর হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে বরিশাল মর্গে প্রেরন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে  বৃহস্পতিবার সকালে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামে।

নিহত গৃহবধূর মা একই উপজেলার বারপাইকা গ্রামের স্বর্গীয় সুশীল বিশ্বাসের স্ত্রী বিনা বিশ্বাস অভিযোগ করেন, ৫ বছর পূর্বে বাকাল গ্রামের স্বর্গীয় ঠাকুর রায়ের পুত্র রতন রায়ের সাথে তার কন্যা শিপ্রার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বর পক্ষের দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছিলো। বিয়ের পরবর্তী সময়ে তাদের সংসারে একপুত্র ও এককন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করে। এরইমধ্যে রতন রায় পূর্ণরায় ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। এতে বাঁধ সাধেন শিপ্রা। ফলে প্রায়ই শিপ্রাকে শারিরিক নির্যাতন করতো তার স্বামী রতন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৬জুন বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ণরায় যৌতুকের টাকার জন্য শারিরিক নির্যাতন করে শিপ্রাকে হত্যা করা হয়। একপর্যায়ে শিপ্রার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে পাষন্ড রতন আত্মহত্যার কথা রটিয়ে দেয়। তিনি আরো জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে তিনিসহ বাড়ির অন্যান্যরা বাকালের বাড়ি থেকে তার কন্যা শিপ্রাকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কত্যর্বরত চিকিৎসক শিপ্রাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।

খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহত গৃহবধূ শিপ্রার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরন করেছেন। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও বিনা বিশ্বাস উল্লেখ করেন। আগৈলঝাড়া থানার ডিউটি অফিসার এস.আই আবুল খায়ের জানান, প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার পর থেকে রতন রায় আত্মগোপন করেছে।