বাড়ছে পানি-ভাঙ্গছে নদী

সরিকল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পূর্ব হোসনাবাদ এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে ওই এলাকার ৫টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। সর্বস্ত্র হারিয়ে ওই এলাকার অনেকেই এখন আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে।


গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কিছুক্ষন পর পর নদীর তীরবর্তী বাড়িগুলো ভেঙ্গে নদীর মধ্যে পরছে। চরম আতংকে নদীর তীরবর্তী বাড়ির মালিকরা তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে ও গাছপালা কেটে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের রং মিস্ত্রি শাহজাহান খলিফা (৪৫) জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে তার ৭৬ শতক সম্পত্তি নদী গর্ভে বিলিন হওয়ায় তিনি এখন সর্বশান্ত হয়ে পরেছেন। সর্বস্ত্র হারিয়ে তিনি স্ত্রী-পরিজন নিয়ে বর্তমানে স্থানীয় আরশেদ আলী প্যাদার পরিত্যক্ত ভিটায় খুঁপরি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন। একই গ্রামের সাত্তার খান জানান, নদীগর্ভে তার ৮’শ শতক জমি বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়াও ওই গ্রামের জব্বার বেপারী, ছাত্তার বেপারী, মফছের বেপারীর বাড়িও নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।

নদী ভাঙ্গনের আতংকে ঘরবাড়ি সরিয়ে ডিনয়েছেন ওই গ্রামের শাহাদাত খান, সুলতান খান, রতন খান, মহব্বত আলী, মোচন সিকদার, আকবর আলী ও আজগর আলী সিকদারসহ অনেকেই। আক্ষেপ করে শাহাদাত আলী খান বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে নদী ভাঙ্গন শুরু হলেও এখনো তাদের দেখতে স্থানীয় প্রশাসনের কেউ এগিয়ে আসেননি। তারা নদী ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও নদী ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর স্থায়ী বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।