প্রযুক্তি নির্ভর যুগেও গৌরনদীতে কমেনি ঈদ কার্ডের কদর

শুভেচ্ছা জানাতে ঈদ কার্ডের বিকল্প কোন পন্থা ছিলো না। ঈদ কার্ডকে ঘিরে তরুণ-তরুণী, উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েসহ অনেকের মাঝেই এক দারুণ আনন্দ বিরাজ করতো। তারা নিজেরাও মনের মাধুরী দিয়ে কার্ড তৈরি করত। গৌরনদীর ব্যবসায়ীরাও ঈদকে কেন্দ্র করে নানা রকম ঈদ কার্ড তৈরি করে ও ঢাকা থেকে ক্রয় করে দোকানগুলোকে সাজিয়ে তোলতেন। কার্ডের দোকানে থাকত উপচেপড়া ভিড়। এখন সেভাবে ভিড় না হলেও বেচাকেনা একেবারে কম নয়।

ঈদ উপলক্ষে গৌরনদীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় এবারও ছোট ছোট দোকান ঘর তৈরী করে ঈদ কার্ড বিক্রি করা হচ্ছে। গৌরনদীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গড়ে ওঠা দোকানগুলো ঘুরে  দেখা যায়, বিভিন্ন ইসলামী গান ও সুর থাকা কার্ড, শিশুদের জন্য বিশেষ রঙে শাকিরা, মিষ্টার বিন, মিনা-মিতু, সুপারম্যান, ব্যাটম্যান, পাপাই, টমেন অ্যান্ড জেরিসহ বিভিন্ন নাম, আকার ও ডিজাইনের ঈদ মোবারক লেখা কার্ড বিক্রি হচ্ছে। অনেক কার্ড হাতে নিয়ে খোলা হলে বিভিন্ন বাংলা ও হিন্দি গান শোনা যায়। বেজে উঠছে জনপ্রিয় গানের সুরও।  গৌরনদীর দোকান মালিক ও কর্মচারীরা জানালেন, ডিজিটাল যুগে মানুষ ই-মেইল, মুঠোফোন, ফেইসবুকের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাচ্ছেন একে অপরের কাছে। ফলে আগের মতো ঈদ কার্ডের রমরমা অবস্থা আর নেই।

তবে শিশুরা বিভিন্ন নামে বের হওয়া মিনি ঈদ কার্ড ক্রয় করছে। বিক্রেতারা জানান, যদি গৌরনদীর স্কুলগুলো বন্ধ না থাকতো তাহলে অনেক ঈদ কার্ড শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করা যেত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিশুদের কার্ডগুলো বিক্রি হচ্ছে কম।