অপরাধ ও শাস্তি, বাংলাদেশ পুলিশ ষ্টাইল

মিরপুর পুলিশ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপকমিশনার মোহম্মদ জাহাঙ্গির আলম মজিবর রহমানের মৃত্যু নিয়ে সাত বছর বয়স্ক পুত্রের বক্তব্য খণ্ডাতে গিয়ে যা বললেন তাও হুবহু তুলে ধরলে কিছুটা হলেও ফুটে উঠবে আমাদের পুলিশ বাহিনীর শৌর্য বীর্য। ’সাত বছর হোক আর পাঁচ বছরই হোক, তার কথা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। তারা ছোট থেকেই ক্রাইমের সংগে থাকতে থাকতে সে রকম হয়ে যায়’। তারা বলতে এখানে পুত্র ইকবালকে বুঝানো হয়েছে নিশ্চয়। উপকমিশনারের ভাষ্য বিশ্বাস করলে আমাদের মানতে হবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ইকবালরা ক্রাইমের সাথে বেড়ে উঠে আর পুলিশ বাহিনী বেড়ে উঠে সততার নোনাজলে! হতে পারে বাস কাউন্টারের কর্মচারী মজিবর ক্রিমিনাল, হতে পারে সে মাদক বিক্রেতা। আমরা এমন একটা সমাজে বাস করি যেখানে প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী হতে শুরু সবাই চোর। এমন একটা সমাজ নিয়েই বাংলাদেশর বাস যেখানে অন্যায়, অবিচার আর অনাচারের অবাধ রাজত্ব। এমন সমাজে একজন মাদকসেবী আর মাদক ব্যবসায়ীর উত্থানের দায় দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকেই।

আমাদের পুলিশ সেই পুলিশ যারা পতিতার আচল হতে ১০ টাকা পর্যন্ত কেড়ে নেয় অধিকার ভেবে। তারা সেই পুলিশ যারা টাকার জন্যে ভিক্ষুককে পর্যন্ত হয়রানি করতে দ্বিধা করেনা। চাঁদাবাজির পাশাপাশি নিজেদের অস্ত্র পর্যন্ত ভাড়া খাটায় বেজন্মার দল। নিজেরাই রক্ষক, নিজেরাই ভক্ষক, নিজেরাই বাদী আর বিবাদী সেজে সমাজকে নষ্ট করায় মূল ভূমিকা রাখে তারা। মজিবর হত্যার বিচার হয়ত কোন দিনই সম্ভব হবে না, কারণ বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর খুঁটির জোড় অসম্ভব শক্তশালী। কিন্তু এ নিয়ে কথা না বলা হবে আরও বেশি অন্যায়।


 

Writer : WatchDog – AmiBangladeshi.Org